স্বাস্থ্যকর গরুর মাংস রান্নায় চার পরামর্শ
গরুর মাংসে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। উচ্চ প্রোটিনের পাশাপাশি গরুর মাংসে রয়েছে চর্বি, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ নানা ভিটামিন। তবে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকায় গরুর মাংস বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। গরুর মাংসের পুষ্টি শরীরের নানা রকম উপকারে তখনই আসে, যখন সঠিক পরিমাণ ও সঠিক উপায়ে রান্না করে খাওয়া হয়।
রান্নার আগে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিন
গরুর মাংস রান্নার আগে কাটা মাংস সিদ্ধ করে পানি ফেলে ধুয়ে রান্না করলে তাতে চর্বির পরিমাণ অনেক কমে যায়। যদিও এভাবে রান্না করলে একটু স্বাদ কমে যাবে। তারপরও এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মাংস রান্নার জন্য ছোট করে কাটুন
ছোট ছোট করে চর্বি ছাড়িয়ে গরুর মাংস কাটা, কিমা করা, পাতলা করে গরুর মাংস কাটা ইত্যাদি উপায়ে গরুর মাংসের চর্বি অনেক কমে যায় এবং পরিমাণেও অনেক কম খাওয়া হয়। তাই বড় টুকরা নয়, ছোট করে কাটা মাংসই শরীরের জন্য উপকারী।
সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করুন অন্যান্য খাদ্য উপাদান
গরু রান্নায় অন্যান্য খাদ্য উপাদান সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করুন। যেমন : সয়াসস, লবণ, বিট লবণ কমার্শিয়াল ইত্যাদি। এগুলোতে অনেক লবণ ও সোডিয়াম থাকে। তাই এগুলো ব্যবহার করলে গরুর মাংসে লবণের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির জন্য খারাপ। বরং গরুর মাংসে সিরকা, গোল মরিচ, কাঁচা পেপে কাটা, লেবুর রস, টমেটো পিউরি টকদই ইত্যাদি দিয়ে রান্না করলে মাংস অনেকটাই স্বাস্থ্যকর হয়।
ভিন্নধর্মী রান্না
অতিরিক্ত তেল মসলা ঘি দিয়ে গরুর রেজালা, কারি ইত্যাদির চেয়ে উদ্ভিত তেল ও সবজি হালকা মশলা তৈরির মেন্যু অনেক স্বাস্থকর। যেমন : গরুর মাংসের স্টু, স্টেক, বাঁধাকপির মাংস, গরুর কিমার তৈরি কোনো মেন্যু। গরুর কাবার, গ্রিল বিফ ইত্যাদি মেন্যু অনেক স্বাস্থ্যকর। কারণ, এই ধরনের মেন্যুতে তেল অনেক কম লাগে এবং রান্নার কারণে মাংসের চর্বি অনেক কমে যায়।
রান্নার মধ্যে সতর্কতার পাশাপাশি মাংস সংরক্ষণ ও খাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকত হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে স্বাস্থ্যকর রান্না মাংসও অনেক ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল