পূজার খাওয়া-দাওয়ায় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
পূজায় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন একটু বিশেষভাবেই করা হয়।
পূজায় আনন্দের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ায়ও থাকে অনেক সমারোহ। ষষ্ঠী থেকে অনেকেই নিরামিষ খেয়ে থাকেন। তবে পুষ্টির যথাযথ চাহিদা পূরণে প্রোটিনের প্রতিও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়।
নিরামিষ তৈরিতে দই বা ঘিয়ের ব্যবহার কিছুটা প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত করে। আবার ডালের বড়ি বা ডাল-সবজির নিরামিষও প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক। দই, ছানা বা দুধের খাবার থেকে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।
এ সময় অনেক ফল খাওয়া হয়। তাই উপোস থেকে ফল খেলে এমনভাবে ফলগুলো নির্বাচন করতে হবে, যেন সেগুলো থেকে পর্যাপ্ত ক্যালরি, ভিটামিন ও মিনারেলস পাওয়া যায়। যেমন : উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল, খেজুর বা কলা। এই ফল দুটো থেকে ভালো মাত্রার আয়রন ও পটাশিয়াম পাওয়া যায়।
আবার মধ্যম ক্যালরির ফল, যেমন—পেঁপে, আপেল, নাশপাতি, আনারস, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি থেকে ভিটামিন ও পটাশিয়াম ছাড়াও খাদ্য আঁশ পাওয়া যায়।
আবার টক ফল ভিটামিন সি ও পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। তাই সারা দিনে ফলগুলো ভাগে ভাগে রকমফের করে খেলে পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মক্ষম থাকা যাবে।
তরল খাবারের মধ্যে পানির পাশাপাশি দুধ, ডাবের পানি, লাচ্ছি, মাঠা, ফলের জুস উপকারী।
পূজায় অনেক রকম মিষ্টান্ন করা হয়। বিভিন্ন রকম নাড়ু, লাড্ডু ছাড়াও গুড় ও দুধের তৈরি মিষ্টান্ন বেশি খাওয়া হয়। নারকেল ও ঘি দিয়ে তৈরি মিষ্টান্নের তুলনায় দুধ-গুড়ের তৈরি মিষ্টান্ন তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত। যেমন : ছানার পায়েস, ছানার জিলাপি, সেমাই, ফিরনি, দুধের সন্দেশ, দই ইত্যাদি।
লাড্ডু ও নাড়ুজাতীয় মিষ্টান্নে প্রচুর ফ্যাট ও ক্যালরি থাকে। তবে লাড্ডুতে বাদাম-তিল ইত্যাদি ব্যবহার করলে কিছুটা স্বাস্থ্যকর হয়।
এ সময় ডায়াবেটিস বা হার্টের রোগীদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে উপোস থাকলে রক্তের সুগার চেক করতে হবে এবং সাবধানে মিষ্টান্ন খেতে হবে। প্রেশারের রোগীরা তাদের প্রেশার চেক করার পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়ার বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।