রক্তে কোলেস্টেরল কমায় মরিচ
মরিচের ল্যাটিন নাম ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকামের গোত্র থেকে মরিচ উৎপন্ন হয়। মরিচ এক প্রকারের ফল। সাধারণত খাবারে ঝাল ও স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা মরিচ ব্যবহার করে থাকি। আমেরিকার আদিবাসীরা প্রায় সাত হাজার ৫০০ বছর আগে থেকে মরিচ ব্যবহার করে আসছে। পুরাতাত্ত্বিকরা ইকুয়েডরের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে ছয় হাজার বছর আগে মরিচ চাষের প্রমাণ পেয়েছেন। জানা যায়, স্পেনীয় ব্যবসায়ীরা মেক্সিকো থেকে মরিচ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আসে। এ সময় ফিলিপাইন, ভারতবর্ষ, চীন ও জাপানে মরিচ বিস্তার হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই মরিচের চাষ হয়ে থাকে।
এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে। এ ছাড়া এটি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি২,ভিটামিন বি৩- এগুলোর ভালো উৎস। এতে আছে কপার আয়রন,পটাসিয়াম ম্যাংগানিজ,ম্যাগনেসিয়াম। মরিচে ক্যাপসেসিনের জন্য ঝাঁঝ হয়। এটি মস্তিস্কের নার্ভে (স্নায়ুর) ফাইবার ক্রিয়াশীল রাখে।
মরিচের গুণাগুণ
- প্রবীণদের আরথ্রাইটিসের ব্যথা রোধ করতে মরিচ বেশ ভালো কাজ করে।
- সর্দিতে নাক বন্ধ থাকলে সেটি পরিত্রাণে সাহায্য করে।
- আমাদের দেহকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
- মরিচ খাবার গ্রহণের ২০ মিনিটের পর অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
- খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং খাবারকে রঙিন করে।
- ডায়াবেটিস থেকে মস্তিস্কে যে সমস্যা হয় সেটি রোধে সাহায্য করে।
- কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে হ্রাস করে।
- এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে।
- কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা জ্বর,সর্দিকাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এটি কাটা ছেড়া শুকানোর জন্য খুব ভালো কাজ করে।
- নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা কমে।
- নিয়মিত মরিচ খেলে ত্বকের বলিরেখা পড়ে না।
সৈয়দা তাবাসসুম আজিজ : সহকারী অধ্যাপক, খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ