ভুলেও করবেন না এই ৫ ডায়েট
কঠোর ডায়েট শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। প্রতিটি খাবার থেকে আমরা বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন পেয়ে থাকি। তাই শরীরের চাহিদার জন্য সুষম ডায়েট মেনে চলা উচিত। পুষ্টিকর খাবার শরীরের ক্রিয়াকলাপ এবং অসুস্থতা প্রতিরোধ করে। অনেকেই না জেনে কিছু খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। যা খুবই বিপজ্জনক। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ডায়েট করতে যাবেন না।
পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি, এইচটি ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাঁচটি ডায়েট সম্পর্কে কথা বলেছেন। যা সঠিক শিক্ষা, পরিকল্পনা এবং তত্ত্বাবধান ছাড়া অনুসরণ করলে, ক্ষতিকারক হতে পারে।
অত্যন্ত কম ক্যালোরি খাদ্য
ক্যালোরির অভাবে পুষ্টির ঘাটতি, পেশীর ক্ষয়, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান। এতে শরীরের শক্তির চাহিদা পূরণ হবে।
ফ্যাড ডায়েট
ফ্যাড ডায়েট হল একটি খাওয়ার পরিকল্পনা যা দ্রুত ওজন কমাতে কাজ করে। জলদি ওজন কমাতে অনেকেই এই ডায়েট করে থাকেন। কিন্তু এই ডায়েটের বৈজ্ঞানিক সমর্থন নেই। এর ফলাফল দীর্ঘমেয়াদী হয় না। ভারসাম্যহীন খাবার পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করেই এই ডায়েট প্লান করা হয়ে থাকে। এই ডায়েটে একাধিক খাবার বর্জন করা হয়। যা শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করতে পারে। ডিহাইড্রেশন, দুর্বলতা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথা দেখা দেয়।
ডিটক্স ডায়েট
পরামর্শ ছাড়াই ডিটক্স ডায়েট করলে মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে ওঠতে পারে। ডিটক্স ডায়েটে ক্যালোরি কম গ্রহণ করা হয়। এতে টক্সিন অপসারণ হয় ঠিকই কিন্তু শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। তাই এই ধরণের ডায়েট থেকে দূরে থাকাই ভাল।
কেটোজেনিক ডায়েট
কেটোজেনিক ডায়েট, সঠিক নির্দেশনা এবং পর্যবেক্ষণ ছাড়া করা উচিত নয়। এই ডায়েটে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার সম্মুখীন হতে হয়। লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। কেটোজেনিক ডায়েট করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে নিন।
ওষুধের ওপর নির্ভর করা
অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ক্ষতিকারক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় নানা অঙ্গের সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস