ঘি খেলে কি সত্যিই ওজন বাড়ে?
হাজার বছর ধরে ঘি রান্নার একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক গুণাবলী থাকার পরও অনেকেই এটি খেতে চান না। কারণ ওজন বাড়াতে পারে বলে। মোটা হওয়ার ভয়ে খাদ্য তালিকা থেকে ঘি বাদ দিয়ে দেন অনেকেই। কিন্তু এটি কতটা সত্যি? আসলেই কি ডায়েট থেকে চর্বির এই স্বাস্থ্যকর উৎসটি বাদ দেওয়া দরকার?
ঘি নিয়ে বেশ কয়েকটি ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যা মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করে।
ঘি ওজন বাড়ায়
ঘি খেলে ওজন বাড়ে- এটি একটি ভুল কথা। যদিও এতে ক্যালোরি অনেক। তবে এর অর্থ এই নয় যে, এটি সরাসরি ওজন বাড়িয়ে তোলে। এটিতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা দ্রুত হজম হয়। চর্বি হিসেবে সঞ্চিত হওয়ার পরিবর্তে শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি বুটিরিক অ্যাসিডেও সমৃদ্ধ। যা স্বাস্থ্যকর বিপাককে সমর্থন করে। ওজন বজায় রাখার সাথে যুক্ত রয়েছে।
ঘিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি
আরেকটি ভুল ধারণা হল ঘিতে কোলেস্টেরল বেশি এবং স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এটি সত্য যে, ঘিতে কোলেস্টেরল রয়েছে। তবে গবেষণা অনুসারে, ডায়েটরি কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলকে প্রভাবিত করে না। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি এমসিটির অ্যাসিডগুলোর একটি সমৃদ্ধ উত্স। যা হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘিতে রান্না করা এড়ানো উচিত
অনেকের মতে, ঘি দিয়ে রান্না করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এটি পুরোপুরি ভাবে ভুল ধারণা। উচ্চ তাপে রান্না করার নিরাপদ বিকল্প ঘি। এটি ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাবডিকালগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ঘিতে পুষ্টি নেই
ঘিয়ের কোনও পুষ্টিকর উপকারিতা নেই- অনেক বড় একটি ভুল ধারণা। ঘি এ, ডি, ই এবং কে-২ এর মত চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিনগুলোর একটি দুর্দান্ত উত্স। যা হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য ভাল। দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঘি ক্ষতিকারক
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঘি মোটেও ক্ষতিকারক নয়। এতে ওমেগা -৩ এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল ভারসাম্য রয়েছে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
ল্যাকটোজ-অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের ঘি খাওয়া উচিত নয়
অনেকের মতে, ল্যাকটোজ-অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের ঘি পুরোপুরি এড়ানো উচিত। কারণ এটি তাদের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে। কিন্তু এটি সত্য নয়। ঘি প্রতিটি ব্যক্তির পক্ষে খাওয়া নিরাপদ ।
সূত্র : ইন্ডিয়া ডট কম