ওজন কমাতে কীভাবে ডিম খাবেন?
ওজন কমাতে গিয়ে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখতে হবে। অনেকেই বুঝতে পারেন না ডিম সেদ্ধ করে খাবেন নাকি ডিম ভাজা বানিয়ে। তবে ডিম নানাভাবে খাওয়া যায়। কিন্তু ডিম ভেজে খাবেন না। ভাজা ডিমের স্বাদ সুস্বাদু হলেও, প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই সিদ্ধ, পোচড বা স্ক্র্যাম্বলড করে ডিম খাবেন। ডিম পোচ বা স্ক্র্যাম্বলড করার সময় অবশ্যই অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। তেলের পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।
অতিরিক্ত ফাইবার এবং ভিটামিন পেতে পালং শাক, ক্যাপসিকাম বা টমেটোর মত শাকসবজির সঙ্গে আপনার ডিম মিশ্রিত করতে পারেন। ওজন কমানোর যাত্রায় ডিম একটি দুর্দান্ত খাবার হতে পারে।
ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে ‘ডিম’ প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার ডায়েটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।
এ ছাড়া সকালে নাস্তায় ডিম অবশ্যই রাখুন। এটি ওজন কমাতে সহায়তা করবে। আপনার ক্ষুধা কমাবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আপনি কি জানেন, সকালের নাস্তায় কতগুলো ডিম খাওয়া উচিত? একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২-৩টি ডিম খেতে পারেন। এতে আপনার ক্যালোরি বাড়বে না। বরং যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন পাবেন।
সকালে নাস্তায় ২-৩ টি ডিম আপনাকে তৃপ্তি দেবে। ক্ষুধার যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করবে। প্রতিটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে, যা ওজন কমানোর পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ডিমে ভিটামিন বি-১২ এবং ডি রয়েছে। এটি আয়রনে ভরপুর, যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
সূত্র : বোল্ডস্কাই