জানো কি
ক্রিকেটারদের গুডলাক চার্ম
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ছুঁতেই আনন্দ উল্লাস, ছোট্ট একটি লাফ, ব্যাট উঁচিয়ে ধরা, হেলমেট খোলা, পরিচিত সব উদযাপন। তার পরেই পকেট হাতরে বের করলেন কয়েন। উঁচিয়ে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। মোটামুটি সবাই অবাক। কয়েনের পেছনে রহস্য কী? পরে জানা গেল, কদিন আগে সেটি পড়ে গিয়েছিল মুশফিকের পকেট থেকে। তামিম কুড়িয়ে নিয়ে বলেছিলেন, পকেটে রেখে দিতে। ওই কয়েন পকেটে রাখলেই নাকি মিলবে রান! তামিমের কথা শুনে মুশফিক কয়েন পকেটে রেখেই করেছেন ব্যাটিং। সেঞ্চুরির পর তাই সেটি দেখাচ্ছিলেন তামিমকেই। এমন অনেক বিখ্যাত ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা কি না অনেক কুসংস্কারই মেনে চলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এগুলো তাঁদের সৌভাগ্য বয়ে আনবে। চলুন, জেনে নিই বিখ্যাত ক্রিকেটারদের এমন কুসংস্কারের কথা।
শচীন টেন্ডুলকারের প্যাড
লিটল মাস্টার খ্যাত ভারতীয় মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার সব সময় নিজের বাঁ পায়ের প্যাড আগে পরতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, এমনটা করলেই নাকি ব্যাটে রানের বন্যা হবে।
স্টিভ ওয়াহর লাল রুমাল
ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। এই অস্ট্রেলিয়ান খেলার সময় তাঁর দাদির দেওয়া রুমাল নিয়ে নামতেন। তাঁর ধারণা ছিল, এটাই তাঁর সফলতার কারণ।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নম্বর ৭
ক্রিকেটার হওয়ার আগে ধোনি যখন নিয়মিত ফুটবল খেলতেন, তখন তাঁর জার্সি নম্বর ছিল ৭। সেই জার্সি নম্বর এখনো ব্যবহার করেন ভারতীয় অধিনায়ক। আসলে ৭ জুলাই ধোনির জন্মদিন। তাই এই নম্বরটাকে লাকি বলে মনে করেন তিনি।
মাইকেল ক্লার্ক আর গান
মাইকেল ক্লার্ক মাঠে নামার আগে হাই ভলিউমে গান শোনেন। এটাকে ঠিক কুসংস্কার বলা চলে না। কারণ, গান অনেক সময় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মাঠে নামার আগে উচ্চ স্বরে গান শোনাকে অনেকটা নিয়মের মধ্যেই ফেলে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার। তাঁর ধারণা, এটা একদিকে যেমন তাঁর সৌভাগ্য বয়ে আনে, অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেয়।
যুবরাজ সিংয়ের নম্বর ১২
যুবরাজের ক্ষেত্রে বিষয়টা বেশ অদ্ভুত। ভারতীয় এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের জীবনে ১২ সংখ্যাটি বারবার ফিরে এসেছে। তাঁর জন্মদিন ডিসেম্বরের ১২ তারিখ চণ্ডীগড়ের ১২ নম্বর সেক্টরে। তাই তাঁর জার্সি নম্বরও ১২। এই নাম্বারের জোরটাই নাকি তাঁর কব্জিতে জড়ো হয়!
মাহেলা জয়াবর্ধনের প্রিয় ব্যাট
পুরো নাম দেনাগামাগে প্রবোথ মাহেলা ডি সিলভা জয়াবর্ধনে। ক্রিকেট ইতিহাসে যাঁর নাম আজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ধারণা ছিল, তাঁর ব্যাটই তাঁর সৌভাগ্য বয়ে আনে। সব সময় একটা ব্যাট নিয়েই নামতে দেখা গেছে এই শ্রীলঙ্কানকে। আর প্রতি ইনিংসেই তিনি তাঁর ব্যাটকে যে কতবার চুমু খেয়েছেন, তাঁর কোনো হিসাব নেই।
সৌরভ গাঙ্গুলীর জার্সি
বেশ কয়েকবার নিজের জার্সি নম্বর পরিবর্তন করেছেন গাঙ্গুলী। ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে নাকি এক জ্যোতিষীর পরামর্শে ৯৯ সংখ্যাটি ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। এই নম্বরের জার্সিই সবচেয়ে বেশিবার পরতে দেখা গেছে তাঁকে।
এমন অনেক ঘটনাই আছে ক্রিকেট ইতিহাসে, যা ক্রিকেটারদের একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে এসেছে। যদি এগুলো সত্যিই তাঁদের সৌভাগ্য বয়ে আনে তবে ক্ষতি কী! ইংরেজিতে গুডলাক চার্ম বলে তো একটা কথাই আছে।