যে হৃদয় পালংশাকের!
এতদিন বিজ্ঞানীরা বলে এসেছেন পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর এবার বিজ্ঞানীরাই পালং শাকের সাহায্য নিয়ে আবিষ্কার করেছেন হৃদয়ের পেশি তৈরির পথ। খবরটি জানিয়েছে ডিএনএ ইন্ডিয়া।
এই গবেষণাটি সংবহনতন্ত্র তৈরিতে একটি নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। এর ফলে কোষ প্রকৌশলবিদ্যার পথ থেকে একটি কাঁটা দূর হয়ে গেছে। ওরচেস্টার পলিটেকনিক ইনস্টটিউটের একটি বায়োমেডিকেল গবেষকদল পালংশাকের পাতার কোষ মানুষের কোষে স্থানান্তর করেছেন এবং সেই পরিবর্তিত উদ্ভিদ শিরা সাফল্যের সঙ্গে রক্তসংবহনতন্ত্রে কাজ করেছে।
গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন যে, মৌলিকভাবে উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিভিন্ন উপায়ে তাদের ভেতরকার ফ্লুইড, রাসায়নিক এবং ম্যাক্রোমলিকিউলস (প্রোটিন, নিউমেরিক এসিড, সিনথেটিক এসিডসমৃদ্ধ একটি উপাদান) কাজে লাগায়, এবং এখন পর্যন্ত রক্ত সংবহনতন্ত্রে কাঠামোয় উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ের অদ্ভুত মিল রয়েছে।
শুরুতেই রক্ত সংবহনতন্ত্র তৈরির পরিবর্তে গবেষকরা পাতার সরু ও লম্বা পালংশাকের টুকরো নেন এবং তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে তারা একটি সেলুলোজ কাঠামো গঠন করতে পারে; যেটি তাদের একান্তে রাখতে সহায়তা করবে। পালংশাকের পাতা দিয়ে এই রক্ত সংবহনতন্ত্রের গঠন তৈরির জন্য একটি ডিটারজেন্ট সলিউশন বের করেছেন বিজ্ঞানীরা, যাকে বলা হয় ডিসেলুলারাইজেশন। এই প্রক্রিয়ায় সব উদ্ভিদ কোষ ধুয়ে যাবে।
বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণাপত্রে আরো লিখেছেন, ‘সেলুলোজ জৈব সামঞ্জস্যপূর্ণ পদার্থ এবং বিভিন্ন ওষুধের ক্ষেত্রে এর ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। যেমন কার্টিলেজ কোষ প্রকৌশলের ক্ষেত্রে, হাড়ের কোষের প্রকৌশলে এবং ক্ষত নিরাময়ে।’
এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা এখনো থ্রিডি মুদ্রণ প্রক্রিয়ার ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে রক্তসংবহনতন্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তারা জানাচ্ছেন যে তাদের এই সাফল্য গোটা রক্ত সংবহনতন্ত্রের নেটওয়ার্ক তৈরিতে একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মাত্র।