যিশুর চেহারা পেতে ২১বার প্লাস্টিক সার্জারি
মানুষের খেয়ালের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। নানা রকম মানুষের বিচিত্র রকম খেয়াল। এদের মধ্যে কিছু কিছু খেয়াল বেশ অদ্ভুত। তবে অদ্ভুত খেয়ালের দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ৩০ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক মার্ক এমেরি। মার্ক এমেরির জীবনের একমাত্র লক্ষ্য যিশু খ্রিস্টের আদর্শে নিজেকে গড়ে তোলা। শুধু আদর্শই নয়, মুখের আদলেও যিশু খ্রিস্টের মতো দেখতে হতে চান তিনি। সেজন্য একবার নয়, দুইবার নয় নিজের মুখে ২১ বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন তিনি। আর এতে খরচ হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
শুধু তাই নয়, ওয়ার্ল্ড ডেইলি রিপোর্টের খবরে প্রকাশ, নিজের খেয়ালকে প্রায় ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত করেছেন এমেরি। খ্রিস্টধর্ম মতে যিশু খ্রিস্ট পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য কাঠের কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এমেরি। পাশাপাশি প্রাচীন ইহুদি আইন ও ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করছেন তিনি।
নিজের অদ্ভুত শখ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি নিবাসী মার্ক এমেরি বলেন, ‘কিছু লোক নিজের টাকা দিয়ে দামি গাড়ি কেনে অথবা বিলাসবহুল বাড়ি বানায়। আমি আমার অর্জিত অর্থ যিশুর মুখের আদল পাওয়ার জন্য খরচ করেছি। এটাই যিশুর প্রতি আমার ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যম। আমি যিশুর মতো জীবনযাপনের চেষ্টা করছি এবং যতটা সম্ভব তাঁর মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার কাছে যিশুর মতো দেখতে হওয়া যথেষ্ট নয়। আমি তাঁর মত দেখতে হওয়ার পাশাপাশি আমি তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে চাই’।
মার্কের এই অদ্ভুত শখের খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের নিন্দা আর উপহাসের শিকার হচ্ছেন তিনি।
পবিত্র বাইবেলে অবশ্য যিশুর মুখাবয়বের কোনো বিবরণ নেই। এমনকি তাঁর ত্বকের রঙ, চুলের ধরন বা মুখমণ্ডলের বর্ণনাও পাওয়া যায় না বাইবেলে। ইতিহাসবিদদের মতে, যিশু পশ্চিম আফ্রিকান, মিসরীয় বা রোমানদের মতো দেখতে হতে পারেন। তবে এর পেছনে কোনো শক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কেউ। ইতিহাসবিদরা এই মর্মে একমত হয়েছেন যে ইউরোপিয়ান আদলে যিশুর খ্রিস্টের প্রচলিত যে ছবিগুলো দেখতে পাওয়া যায় তিনি দেখতে আদৌ সেই রকম ছিলেন না।
দুই হাজার বছর আগে একটি তোয়ালে দিয়ে যিশু খ্রিস্টের রক্তাক্ত মুখমণ্ডল মোছা হয়েছিল। সেখান থেকেই যিশুর মুখাবয়বের একটি ধারণা পাওয়া যায়। এ ছাড়া আর কোনো কিছু থেকেই যিশুর চেহারার ধারণা পাওয়া যায় না।