ধাঁধা
ফজুর দাড়ি কামাবে কে?
সাতসকালে দোকান খুলল নাপিত ফজু মল্লিক। সকাল থেকে সন্ধ্যা, দম ফেলার উপায় নেই তার। বাইরে লাইন লেগে গেছে খদ্দেরদের। কেউ দাড়ি কামাবে, কেউ চুল কাটাবে। সবকিছু সামাল দেবে ফজু একাই। তার কোনো সহকারীও নেই। এসব ভেবে ফজু হাসে। টাকা-পয়সার অভাব নেই তার, কারণ গ্রামের সব খদ্দেরের দাড়ি সে একাই কামায়।
এই গ্রামে এখন ফজু একাই নাপিতের কাজ করে। আর কোনো নাপিত দূরে থাক, সাহায্যের জন্যও কোনো লোক সে পায়নি। গ্রামে মানুষজন খুব বেশি না হলেও কম নয়। কাজেই দিন-রাত ফজুকে চুল-দাড়ি কামানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর ফজুর দোকানের সেই বিশেষ নিয়মটা তো রয়েই গেছে, যেটা ফজুর পিতা গজু মল্লিকের ঠিক করা।
নিয়মটা হচ্ছে, ফজু বা এই দোকানের নাপিত শুধু তাদেরই চুল বা দাড়ি কাটবে, যারা কখনোই বা কোনো অবস্থাতেই নিজেরা নিজেদের চুল-দাড়ি কামায় না। কাজেই যারা ফজুর কাছে দাড়ি কামায়, তাদের এটা মাথায় রাখতে হয়। একবারও যদি কেউ নিজেই নিজের দাড়ি কামায়, তাহলে আর যাই হোক, ফজুর কাছে দাড়ি কামানো যাবে না কোনোদিনই।
একটা প্রশ্নে উত্তর দিতে পারো—ফজুর দাড়ি কামায় কে? উত্তরের ব্যাখ্যা দিতে হবে কিন্তু!