বিড়াল কত ঘণ্টা ঘুমায়, জানো?
বিড়াল। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণী কি না, এ নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে কম-বেশি সবাই বিড়ালের চলনবলন বেশ পছন্দ করে। চলন বলতে ‘ক্যাটওয়াক’ আর বলন মানে ‘মিউ’ শব্দ। বিড়াল খুবই আদুরে আর আহ্লাদি ধরনের প্রাণী। শান্তশিষ্ট স্বভাব হলেও এর চেহারা ছোটখাটো বাঘের মতো, একই গোত্রের কি না! তাই বিড়ালকে বলা হয় বাঘের মাসি! সায়েন্সকিডসে বিড়ালকে নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য আছে। তার কয়েকটা জেনে নিতে পারো।
১. বিড়াল পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় গৃহপালিত প্রাণী।
২. পৃথিবীতে পোষা বিড়ালের সংখ্যা ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি।
৩. মানুষের সাথে বিড়ালের সখ্য ১০ হাজার বছর ধরে।
৪. দিনের মধ্যে প্রায় ১৩-১৪ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটায় বিড়াল! এই লম্বা ঘুম দিয়ে তারা নিজেদের শক্তি সংরক্ষণ করে।
৫. বিড়ালের শরীর আর দাঁত ছোট ছোট প্রাণী শিকার করার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
৬. একদল বিড়ালকে বলা হয় ‘ক্লাউডার’, ছেলে বিড়ালকে বলা হয় ‘টম’, মেয়ে বিড়ালকে বলা হয় ‘মলি’ অথবা ‘কুইন’ আর বিড়ালছানাদের বলা হয় ‘কিটেন’।
৭. সাধারণত পোষা বিড়ালের ওজন হয় চার থেকে পাঁচ কিলোগ্রাম। তবে ব্যতিক্রম তো আছেই। সবচেয়ে ওজনদার পোষা বিড়ালের ওজন প্রায় ২২ কিলোগ্রাম!
৮. বিড়াল খুবই ধূর্ত এবং নিখুঁত শিকারি। তারা যখন হাঁটে, তখন প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের পেছনের পা ঠিক সেখানেই ফেলে যেখানটায় সামনের পা পড়েছে। এতে করে আওয়াজের পরিমাণ চূড়ান্তভাবে কমে যায় এবং পায়ের ছাপের অস্তিত্বও বিশেষ থাকে না।
৯. বিড়াল রাতে খুবই ভালো দেখতে পায়। এক হিসেবে এ সময়ে তারা মানুষের চেয়ে ছয়গুণ স্পষ্ট দেখতে পায়। এ ছাড়া তাদের ঘ্রাণ ও শ্রবণশক্তিও খুব ভালো।
১০. একটি বিড়াল গড়ে ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।