বিদ্যুৎ বিজ্ঞানী ফ্যারাডে
বিদ্যুৎ ছাড়া কি আমরা এতটুকু সময় ভাবতে পারি? টিউবলাইট, ফ্যান, কম্পিউটার, টেলিভিশন যেটাই বলি-বিদ্যুৎ ছাড়া তো কোনোটা চলতে পারে না। এখন আমরা যে বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছি তা মূলত বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডেরই অবদান। এই মহান বিজ্ঞানীকে নিয়ে জেনে রাখো কিছু কথা। সায়েন্সকিডসে রয়েছে ফ্যারাডেকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য।
১. ইংল্যান্ডে জন্ম নিয়েছিলেন মাইকেল ফ্যারাডে। ১৭৯১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্ম তাঁর, মারা যান ১৮৬৭ সালের ২৬ আগস্টে।
২. তড়িৎ-রসায়ন এবং তড়িৎ-চৌম্বকত্ব নিয়ে তাঁর গবেষণা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
৩. ইলেকট্রোলাইসিসের সূত্র, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ধারণা, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রোটারি ডিভাইসসহ বহু আবিষ্কার করেন ফ্যারাডে। আধুনিক বৈদ্যুতিক মোটর তৈরিতে ফ্যারাডের কাজ মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
৪. বুনসেন বার্নারের আবিষ্কর্তাও কিন্তু মাইকেল ফ্যারাডে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় এটি খুবই প্রয়োজনীয়।
৫. ইলেকট্রোড, ক্যাথোড, অ্যানোড, আয়নের মতো বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন টার্ম তৈরি করেছেন মাইকেল ফ্যারাডে। একই সাথে তিনি ক্লোরিনের প্রকৃতি নির্ণয় করেন।
৬. ফ্যারাডে মোটেও কোনো উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে পারেননি। তাঁর জন্ম ছিল দরিদ্র এক পরিবারে। সেখান থেকে কেবল মোটামুটি বুঝে ওঠার মতো শিক্ষাটুকুই তিনি পেয়েছিলেন।
৭. ফ্যারাডে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন। কোনো লোভ তাঁকে স্পর্শ করত না। তিনি নাইটহুড প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, বিজ্ঞানীদের সম্মানিত সংগঠন রয়্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
৮. যুদ্ধের জন্য অস্ত্র বানাতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থের বিষয়ে গবেষণা বা সাহায্য করার প্রস্তাবে তিনি অসম্মতি জানান ব্রিটিশ সরকারকে।
৯. আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যে আমরা উপভোগ করি, তা মূলত ফ্যারাডেরই অবদান।
১০. ফ্যারাডের বিখ্যাত উক্তি, ‘তাও চেষ্টা করো, কে জানে কী আসলে সম্ভব’!