খ্রিস্টানদের বিয়ের আইনি প্রক্রিয়াগুলো কী?
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পবিত্র চুক্তি। তাঁদের বিয়ে লিখিত মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয় রেজিস্ট্রি।
বাংলাদেশে ১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ অ্যাক্ট (খ্রিস্টান বিবাহ আইন) অনুযায়ী, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে সম্পাদিত হয়। তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করার আগে কিছু নিয়ম পালন করতে হয়, যা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে কিছুটা আলাদা।
প্রথমত, পাত্রপাত্রীর পুরো নাম, ডাক নাম, পেশা বা অবস্থা, বাসস্থানের ঠিকানা, তাঁরা কতদিন ধরে ওই এলাকায় আছেন, তার প্রমাণপত্র গির্জার কাছে নোটিশ আকারে দিতে হয়। সেই নোটিশ প্রাপ্তির পর গির্জার যাজক নোটিশটি খোলা জায়গায় টানিয়ে দেবেন যাতে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
এভাবে নোটিশ কয়েক সপ্তাহ ঝোলানো থাকবে। এতে কারো কোনো আপত্তি থাকলে সে ব্যক্তি আপত্তি করতে পারবেন। এর পর কোনো আপত্তি না পেলে গির্জার প্রধান বিয়ের দুটি পক্ষের কাছ থেকে একটি ঘোষণা গ্রহণ করবেন।
এই ঘোষণাটি বিয়ের পক্ষগুলো ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে দেবেন। সেই ঘোষণায় কিছু বিধিনিষেধ আছে যা দুই পক্ষকে পূরণ করতে হবে।
প্রথমত , পাত্রপাত্রীর মধ্যে জানা মতে এমন কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক নেই যাতে তাদের বিয়েতে আইনসম্মত বাধা আছে।
দ্বিতীয়ত, পাত্রপাত্রী দুজনই আইন অনুযায়ী সাবালক।
এই ঘোষণা সম্পন্ন হওয়ার কমপক্ষে চারদিন পর গির্জার যাজক বিয়ের আবেদনকারীকে একটি সার্টিফিকেট দেবেন। সেই সার্টিফিকেট জারির দুই মাসের মধ্যে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট