বসন্তে শিশুদের পোশাক
মায়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বাসন্তী রঙের শাড়ি, কাঁচের চুড়ি আর মাথায় গাঁদা ফুলের মালা পেঁচিয়ে ছোট্ট শিশুটি চারুকলায় মায়ের হাত ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য বসন্তের প্রথম দিনে এখন হরহামেশাই দেখা যায়। উৎসব যেন আর বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শিশুরাও বড়দের সঙ্গে বসন্তের বর্ণিল রঙে নিজেদের রাঙাতে চায়। তাই আপনার ছোট্ট সোনামণিকে বসন্তের সাজে সাজিয়ে তুলতে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো সেজেছে নানা সাজে।
ফ্যাশন হাউজ অঞ্জন'সের কর্ণধার শাহীন আহমেদ বলেন, 'প্রায় সব বয়সের অর্থাৎ এক বছর থেকে শুরু করে ১৪-১৫ বছরের শিশুদের পোশাক রয়েছে আমাদের হাউজে। হলুদ, লেবু, সবুজ, জলপাই, কমলা এই রংগুলো প্রাধান্য পেয়েছে শিশুদের পোশাকে।'
শিশুদের পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, লিনেন ও ভয়েল কাপড়। আর মেয়ে শিশুদের জন্য কিছু সুতির শাড়িও তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্লক ও স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ করা হয়েছে, বললেন শাহীন আহমেদ।
সুতি কাপড়ে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, সিকোয়েন্সের মিশেলে তৈরি হয়েছে শিশুদের ফাল্গুনের পোশাকগুলো। উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেয়েছে প্রতিটি পোশাকে। মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে শাড়ি, ফতুয়া ও সালোয়ার কামিজ। নানা প্যাটার্নের কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ, লাল ও কমলা রং। হাতায় ও কলারে আলাদা অন্য রঙের বর্ডারসহ ছেলেদের ফতুয়া ও পাঞ্জাবিতে করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিনপ্রিন্ট। মেয়েদের পোশাকের সঙ্গে মানানসই অলংকারও পাওয়া যাবে এসব ফ্যাশন হাউজে।
বিবিয়ানা ফ্যাশন হাউজের কর্ণধার লিপি খন্দকার বলেন, 'প্রতি বছরই শিশুদের জন্য মায়ের বা বাবার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক তৈরি করে থাকি। আমাদের বেশির ভাগ পোশাক তৈরি করা হয়েছে আরামদায়ক সুতির ওপর। যা শিশুরা পরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।'
মেয়েশিশুদের জন্য সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, কুর্তা, ঘাগড়া-চোলি আর ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় নতুনত্ব আনা হয়েছে। আর মোটিফ হিসেবে বসন্তের ফুল, লতাপাতা প্রাধান্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন লিপি খন্দকার।
ফ্যাশন হাউসগুলোর শিশুদের পোশাকের দাম পড়বে ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, মৌচাক মার্কেট, রাপা প্লাজা, রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়ায় পেয়ে যাবেন আপনার ছোট্ট সোনামণির বসন্তের পোশাকটি। এখানে শিশুদের সব ধরনের পোশাক ৩০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।