বইপোকা
লাখো বইয়ের ‘বাতিঘর’
নিউমার্কেট ও আজিজ সুপার মার্কেটের বইয়ের দোকান কমলেও ঢাকায় নতুন নতুন বইয়ের দোকান গড়ে উঠেছে অনেক। দাপটের সঙ্গে পাঠকদের আকৃষ্ট করছে, পাঠকদের ভালোবাসা অর্জন করেছে তারা। তেমনই একটি বইয়ের দোকান বাতিঘর।
দেখুন, পড়ুন, শুনুন—এ স্লোগান নিয়ে ২০০৫ সালে ১০০ বর্গফুট আয়তনে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে যাত্রা শুরু করে বাতিঘর। ছোট্ট আয়তনের এ বাতিঘর বইপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে বাতিঘর তৈরি হয় পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলায়।
চট্টগ্রামে পাঠকদের ভালোবাসা জয় করে বইপ্রেমীদের উৎসাহে বাতিঘর এখন পাড়ি জমিয়েছে রাজধানীতে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার বাতিঘর যাত্রা শুরু করে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাততলায় পাঁচ হাজার বর্গফুটের জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাতিঘর। ঢাকার বাতিঘরের ভেতরের সাজসজ্জা তৈরি হয়েছে লালবাগ কেল্লার আদলে।
বাহারি আলোকসজ্জা, অপরূপ সাজসজ্জা, মিষ্টি মিউজিক ও লক্ষাধিক বই, সব মিলিয়ে অসাধারণ পরিবেশ ঢাকার বাতিঘরের। সারা দিন থাকে পাঠকদের ভিড়। এখানে ৫০ হাজার টাইটেলে রয়েছে এক লাখের বেশি দেশি-বিদেশি বই। বাতিঘর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭০টি এবং এবার নতুন সংযোজন হচ্ছে আরো ৫০টি।
বাতিঘর ঢাকার ব্যবস্থাপক তারেক আবদুর রব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকায় প্রথম দিকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ও ছুটির দিনগুলো পাঠকদের পরিমাণ একটু বেশি থাকে। আমি মনে করি, পাঠকদের মনের ক্ষুধা মেটাতে কাজ করবে বাতিঘর। আশা করছি, সারা দেশে এমন বাতিঘর ছড়িয়ে দেওয়ার।
বাতিঘরে বই কিনতে আসা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মীম বর্মণ বলেন, ‘আমি বই পড়তে ভালোবাসি। তাই আমার প্রায়ই বই কিনতে হয়। বাতিঘরে একসঙ্গে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায় এবং পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এখানে বই কেনার আগে বইটি কেমন, তা কিছুক্ষণ বসে পড়তে পারি। তাই আমি এখানে আসি।’
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে বাতিঘর।