ঘর সাজুক ফ্লোরাল প্রিন্টে
গরমে নতুন আঙ্গিকে ঘরকে সাজিয়ে তুলুন ফ্লোরাল প্রিন্টে। ঘরের মধ্যে স্নিগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এ ধরনের প্রিন্ট। পর্দা, বিছানার চাদর, কুশন কভার, ফ্লোরম্যাট, ডাইনিংম্যাট সব কিছুতেই ছোঁয়া থাকতে পারে ফ্লোরাল প্রিন্টের। এ ক্ষেত্রে ঘরটি অনেক বেশি ছিমছাম লাগবে এবং গরমের মধ্যেও সতেজ ভাব বজায় থাকবে। রঙ হালকা হোক বা উজ্জ্বল, প্রিন্টটাই এ ক্ষেত্রে প্রধান বিষয়। ছোট বা বড় যেকোনো প্রিন্টই আপনার ঘরকে করে তুলবে প্রাণবন্ত এবং স্নিগ্ধ। কোন ঘরে কেমন ফ্লোরাল প্রিন্ট মানাবে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানিয়েছেন ফারজানা ব্লিসের প্রধান নির্বাহী এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা গাজী।
বসার ঘর
বসার ঘরে স্নিগ্ধতা আনতে পর্দাকেই সবার আগে বেছে নিতে হবে। তবে মনে রাখবেন উজ্জ্বল রংই বসার ঘরকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে রাখে। তাই উজ্জ্বল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টে রাঙিয়ে তুলুন বসার ঘর। হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ বা কালচে লাল এসব রঙের ফ্লোরাল প্রিন্ট বেছে নিন পর্দার ক্ষেত্রে। আর পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কুশন কভারও বানিয়ে নিন বিভিন্ন ধরনের ফ্লোরাল প্রিন্টের। সোফার কভারের ক্ষেত্রে কেউ যদি ফ্লোরাল প্রিন্ট ব্যবহার করতে চায় তাহলে সাদার ওপর ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো। এ ক্ষেত্রে একটু গাঢ় রং বেছে নিন। তবে কুশন কভার ফ্লোরাল প্রিন্টের থাকলে সোফার কভার পরিবর্তন না করলেও চলবে। সে ক্ষেত্রে ফ্লোরে বিছিয়ে নিতে পারেন হালকা ফ্লোরাল প্রিন্টের ফ্লোরম্যাট বা কার্পেট।
শোবার ঘর
ফ্লোরাল থিম ব্যবহার করে শোবার ঘরকে করে তুলুন আরো বেশি আকর্ষনীয় এবং স্নিগ্ধ। ফুল, পাতা যেকোনো একটি মোটিফ নিয়ে বিছানার চাদর নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শোবার ঘর যদি ছোট হয় তাহলে পুরো চাদরটা ফ্লোরাল প্রিন্টের না হওয়াই ভালো। চাদরের মাঝখানে বা চারকোনায় ফ্লোরাল প্রিন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আর ঘর যদি বড় হয় সে ক্ষেত্রে সুতার কাজ, ব্লক বা হ্যান্ডপেইন্টের ফ্লোরাল প্রিন্টের বিছানার চাদর বেছে নিন। পর্দার ক্ষেত্রেও হালকা ওজনের পর্দা কিনতে পারেন। চাইলে পুরো পর্দাটাই ফ্লোরাল প্রিন্টের করতে পারেন। আবার তিনটা পর্দার মধ্যে পাশের দুটি ফ্লোরাল প্রিন্টের আর মাঝেরটা একরঙা দিতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। তবে লম্বালম্বি ছাপার পর্দা ব্যবহার করলে ঘর বড় দেখাবে। বিছানার ছোট কুশনগুলো পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন।
খাবার ঘর
সবুজ ও হলুদ রংকে প্রাধান্য দিয়ে খাবার ঘরে ফ্লোরাল প্রিন্ট বেছে নিন। এ ক্ষেত্রে হাফসিল্কের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। যা খাবার ঘরে বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। টেবিল ম্যাটে পাতার মোটিফকে ব্যবহার করে একটা স্নিগ্ধ আমেজ তৈরি করতে পারেন। উজ্জ্বল ফ্লোরাল প্রিন্টের টেবিলের রানারটি ঘরকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলবে।
শিশুর ঘর
উজ্জ্বল বেবি পিঙ্ক বা হালকা সবুজ অথবা গাঢ় নীল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টে সাজাতে পারেন আপনার ছোট্ট সোনামনির ঘরটি। বিছানার চাদরের প্রিন্ট একটু গাঢ় রঙের হলে ভালো হয়। ছোট ছোট কুশনের কভারগুলো হালকা ডিজাইনের ফ্লোরাল প্রিন্টের হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্লকের প্রিন্ট বেছে নিতে পারেন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে আবার খরচও কম হবে।
কোথায় পাবেন
ফ্লোরাল প্রিন্টের বিভিন্ন ধরনের পর্দা, বিছানার চাদর ও কুশন কভার রাজধানীর এলিফেন্ট রোড, মৌচাক মার্কেট, গ্রিন রোড, মোহাম্মদপুর, গুলশানের ডিসিসি মার্কেট ও নিউ মার্কেটে পাওয়া যাবে। এসব মার্কেটে এগুলো রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়। আবার আপনি আপনার পছন্দ মতো বানিয়েও নিতে পারেন। এমনকি ডিজাইনও নিজের মনমতো করে নিতে পারবেন।
দরদাম
সাধারণত বিছানার চাদর আপনি ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। আর প্রতি পিস পর্দা দেড় শ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এবং কুশন কভার প্রতি পিস ১২০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।