যে পাঁচ কথা কখনোই স্বামীকে বলবেন না
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনাটা ভালো। আর এ জন্য একজন আরেকজনের সম্পর্কে আগাগোড়া জেনে নেওয়াটা খুব কাজে দেয়। কিন্তু তারপরও সবকথা কি সবসময় বলা যায়? মানুষের নিজস্ব আঙিনাটা তো কেবল নিজের জন্যই। নারীরা যদি দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকতে চান তাহলে কিছু কথা স্বামীকে না বলাই ভালো। এতে আপনারই লাভ। ভালোবাসা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বামীর কাছে কোন কথাগুলো বলবেন না তার একটা তালিকা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সেই টেলিফোন
হয়তো আপনার সাবেক প্রেমিক আপনার শহরে এসেছে। তার কোনো কাজের জন্য। অথবা পাকাপোক্তভাবে থাকতেই এসেছে। কোনো প্রয়োজনে সে হয়তো আপনাকে ফোন করেছে। আপনাদের মধ্যে কথাও হয়েছে বেশ খানিকটা সময়। ভুলেও এ ধরনের তথ্য নিজের সঙ্গীকে বলতে যাবেন না। কারণ কখনোই সে বিষয়টি ভালোভাবে নেবে না। এমনকি আপনার খুব কাছের বন্ধুকেও না। তারা আপনার এই বিষয় নিয়ে আড়ালে কথা বলবে। তাই এ কথাগুলো যতটা সম্ভব নিজের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা
জীবনে চলার পথে আপনার সঙ্গীর কিছু কিছু আচরণ ঠিক আপনার সাবেক প্রেমিকের মতো হতে পারে। এমনকি কিছু কথারও মিল পেয়ে যাবেন দুজনের কথার মধ্যে। কিন্তু ভুলেও বলতে যাবেন না যে এটা আমি আগেও শুনেছি। আমার আগের প্রেমিক এই কথা হরহামেশাই বলতো। এ ধরনের বাক্য স্বামীর কাছে না বলাই ভালো। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
মিথ্যা প্রেম
হয়তো কোনো কারণে আপনি আপনার সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু ভুলেও এই কথাটা আপনার স্বামীকে বলতে যাবেন না। এ ধরনের কথা শুনে সে আপনার সম্বন্ধে খারাপ ধারণা করতে পারে। তাই সাবধান এ রকম কোনো কথা তাকে বলবেন না।
সেই তুমি, এই তুমি
সবার ভালোবাসার প্রকাশ ভঙ্গি এক রকম হয় না। তবে মনে রাখবেন, ভালোবাসার প্রতিটি মুহূর্তই আনন্দের। আপনি যদি আপনার স্বামীকে ঠিক সেই মুহূর্তেই বলেন যে, তোমারটা ভালো কিন্তু ওরটা ছিল স্পেশাল! এই ধরনের কথা আপনার স্বামীকে বিমর্ষ করে তোলে এবং তার মধ্যে হিংসা কাজ করে। যা আপনাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করতে পারে।
একে অপরের তরে
প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে হয়তো অনেকবার একসঙ্গে ছবি তুলেছেন, কোথাও ঘুরতে গেছেন। তখন আপনার আশপাশের মানুষ আপনাদের সেরা জুটি বলত। শুনে অনেক ভালো লাগতো আপনার। কিন্তু সেই পুরনো খুশির মুহূর্তকে নিজের স্বামীর সামনে তুলে না ধরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কী দরকার পুরনো স্মৃতি মনে করার। ভালোই তো আছেন। অযথা সম্পর্ক জটিল না করাই ভালো।