আজ বিশ্ব বাবা দিবস
বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহারগুলোর একটি। বাবা শাশ্বত, চির আপন। বাংলায় তিনি পিতা আর ফারসিতে বাবা। আজ রবিবার (১৮ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য নিজের বর্তমানকে হাসিমুখে উৎসর্গ করা বাবাদের আলাদাভাবে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার এই দিবস উদযাপন করা হয়। বাবার জন্য বিশেষ দিন হিসেবে প্রতিবছর বিশ্ব বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে প্রতিদিনই বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে।
সন্তানের সকল আবদার অর্থাৎ আবেদন-নিবেদন মায়েরা শোনলেও সবকিছু বাস্তবায়ন করেন বাবা। বাবা-মায়ের দিন-রাত পরিশ্রমর শুধু সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আর এজন্য সব ধরনের চেষ্টা করেন তারা। সন্তানের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করার জন্য বাবাদের ভেঙে পড়া যাবে না ও কাঁদতে মানা।
সন্তানের সকল চাওয়া-পাওয়া যিনি পূরণ করেন তিনি হলেন বাবা। আর এজন্য বাবাকে অসীম ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। কারণ, বাবারা কাঁদলে কিংবা ভেঙে পড়লে সন্তানদের আর বেঁচে থাকার আশা থাকে না। এজন্য সন্তানকে সাহস জোগানোর জন্য হলে বাবাকে হার মানা যাবে না।
উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট এর সম্মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একশ বছর আগে বাবা দিবস উদযাপন শুরু হয়েছিল। তার মেয়ে সনোরা স্মার্ট ডড মা দিবস প্রতিষ্ঠার দ্বারা অনুপ্রাণিত বিশেষ একটি দিনে বাবার প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনমত গড়ে তোলেন তিনি।
যাইহোক, যেহেতু গির্জা এবং তার যাজকের কাছে তার প্রাথমিক আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, তারিখটি জুন মাসের তৃতীয় রবিবার স্থানান্তরিত হয়েছিল। অনেক আলোচনার পর এবং স্থানীয় গির্জার সমর্থন সমাবেশ করার পরে, সনোরা স্মার্ট তার পিতার স্মরণে ১৯১০ সালে বাবা দিবস প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। যিনি একা হাতে ছয় সন্তানকে বড় করেছিলেন।
মাত্র ছয় বছরের মধ্যে বাবা দিবস উদযাপনটি এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে, ১৯১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন ডডের নিজ শহর ওয়াশিংটনের স্পোকেনে থাকাকালীন আনুষ্ঠানিকভাবে এটি পালন করেছিলেন। কিছু দেশ রয়েছে, যেমন স্পেন এবং লিথুয়ানিয়া, বাবা দিবস একটি সরকারী ছুটির দিন হিসাবে বিবেচিত হয়।
বাবার প্রতি মেয়ের ভালোবাসার সূচনা শীঘ্রই বাবা দিবসে রূপ নেয় এবং বিশ্বব্যাপী পালিত হতে থাকে। আমরা এই দিনে গৃহীত অন্যান্য বিশেষ উদ্যোগগুলির মধ্যে হাতে তৈরি উপহার এবং কার্ডগুলিতে তাদের পিতার প্রতি শিশুদের এই ভালবাসার প্রতিধ্বনি দেখতে পাই। এই ধরনের উদযাপন শুধুমাত্র আমাদের পিতাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা প্রকাশ করে না, বরং তাদের সাথে আমাদের বন্ধনকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।