দুর্গাপুজোয় মেয়েদের সাজ
দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। শরৎ এসেই দুর্গাপূজার জানান দিয়ে দেয়। ইতোমধ্যেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসবের একটি বড় অংশ হলো পোশাক কেনাকাটা। উপযুক্ত পোশাক না হলে উৎসবের সাজ পরিপূর্ণ হয় না। মূলত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এই সাজ–পোশাকের পর্ব জমজমাট থাকে।
বর্তমানে সবাই চায় আধুনিকতার ছোঁয়ার সঙ্গে পুজোর ট্রেডিশন মিলিয়ে চলতে। তবে চলুন জেনে নেই, পুজোর জন্য আধুনিকতার মধ্য দিয়ে কি কি ধরনের পোশাক নির্বাচন করা উচিত।
– ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে সাজ হবে একদম পরিমিত। কোনো সিম্পল ডিজাইনের কুর্তী বা ফতুয়া পরা যেতে পারে। এখন হাতের কাজের কুর্তীর চল অনেক বেশি এবং ছোট বড় সকলেরই পছন্দসই।
– অষ্টমীতে সবাই চায় একটু বেশি সাজ দিতে। সাধারণত মেয়েরা কুচি দিয়ে শাড়ি পড়তে পছন্দ করে এই দিনটিতে। যে যার পছন্দ মতো রঙ বাছাই করে নেন। যার ফলে এইদিনে অনেক রঙের, অনেক ধরনের শাড়ির দেখা মেলে। অষ্টমী উপলক্ষে সিল্ক, কিংবা জামদানি যদি কালেকশনে রাখা যায়, তাহলে একটা মার্জিত ভাব আনা সম্ভব।
– নবমীর দিনে আবারও একটু সিম্পল সাজেই সাজতে চান মেয়েরা। তবে ষষ্ঠী ও সপ্তমীর তুলনায় সাজের পরিমাণ একটু বেশি হয়। এইদিনে কোনো ডিজাইনার থ্রি পিস, আনারকলি, সারারা এই ধরনের পোশাক পরলে ভালো মানাবে।
– দশমীর সাজ মানেই হলো সাদা শাড়ি আর লাল পাড়। আটপৌড়ে করে শাড়ি পড়া দশমীর সিগনেচার লুক বলা যায়। সিঁদুর খেলার সঙ্গে মিলিয়েই সাদা শাড়ি লাল পাড় প্রধান্য পায়। আর যদি শাড়িটি হয় কাতানের শাড়ি তাহলে তো কোনা কথাই নেই।