হাত ধরে একমঞ্চে ৫ মেয়র পদপ্রার্থী
নির্বাচনী মাঠে তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোটের লড়াইয়ে একে অন্যকে হারাতে সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কিন্তু আজ শনিবার তাঁরা এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যের অবতারণা করলেন। একে অপরের হাত ধরে একমঞ্চে দাঁড়ালেন ভোটারদের মুখোমুখি।
লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নামা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের কথা বলা হচ্ছে। তাঁরা আজ শনিবার বিকেলে একমঞ্চে ভোটারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সুনির্দিষ্ট ১৩টি বিষয়ে শপথ করেছেন। ভোটারদের বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিয়েছেন। লালমনিরহাট রেলওয়ে শহীদ মিনারে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ‘জনগণের মুখোমুখি’ নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা হলেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু, বিএনপির আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি-জেপির (মঞ্জু) আবদুর রশিদ, ‘জগ’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান সেনা ও ‘নারকেলগাছ’ প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম হুমায়ুন আক্তার শিমুল।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দিলীপ রায় সরকার মেয়র পদপ্রার্থীদের একসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করান। ১৩ দফার ওই শপথে বলা হয়, ‘আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাচনে টাকার প্রভাব খাটানো ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকব, নির্বাচিত হলে পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত করাসহ জনকল্যাণমূলক কাজ করব, নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে কাজ করব, পৌরসভার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করব এবং প্রতিবছর নিজের ও পরিবারের আয়-ব্যয়, দায়-দেনার হিসাব প্রকাশ করব।’ পরে দুর্নীতিগ্রস্ত ও যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দিতে সেখানে উপস্থিত ভোটাররাও শপথবাক্য পাঠ করেন।
সুজনের লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজনের রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক রাজশ দে ও লালমনিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস এম শফিকুল ইসলাম কানু।