বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দেশে ফিরব : মোনালিসা
দেশের জনপ্রিয় মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখানে কিকো মিলানো নামে একটি কসমেটিকস ব্র্যান্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
মোনালিসার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ঘটনা কারো অজানা নয়। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে ২০১২ সালের জুনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। একই বছরে ডিসেম্বরের ১২ তারিখে তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর কিছুদিন না যেতেই গণমাধ্যমকে মোনালিসা জানান, তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। পারস্পরিক বোঝাপড়া না হওয়ায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
তবে মোনালিসার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা এখনো শেষ হয়নি। তাই এখনো তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন। কবে মোনালিসা দেশে ফিরতে চান, কীভাবে কাটছে তাঁর প্রবাসজীবন—এসব বিষয় নিয়ে আজ এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মোনালিসা।
প্রশ্ন : কেমন আছেন আপনি?
উত্তর : জি, ভালো আছি।
প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রে সময় কেমন কাটছে?
উত্তর : ভালোই। সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকি। যতটুকু অবসর পাই, এখানে আমার প্রবাসী বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিই। এসব বন্ধু আমার পূর্বপরিচিত। ঢাকায় থাকার সময় তাঁদের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তাঁরা প্রত্যেকে অনেক ভালো। গতকাল বড়দিনে সবাই মিলে আমরা অনেক মজা করেছি। কাজের কোনো চাপ ছিল না। তাই ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করেছি।
প্রশ্ন : বিদেশে থেকে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো কি দেখা হয়?
উত্তর : নিয়মিত দেখি। আমার করা অনেক পুরাতন বিজ্ঞাপন, নাটক প্রচারিত হয়, যা দেখতে আমার ভালোই লাগে। অন্যদের কাজও দেখি।
প্রশ্ন : দেশে তো আপনার অসংখ্য ভ্ক্ত রয়েছেন। তাঁদের কথা মনে কি পড়ে?
উত্তর : সত্যি বলতে কি, আমি ভক্তদের অসম্ভব মিস করি। এখানে যাঁরা বেড়াতে আসেন, তাঁরা আমাকে দেখলে ছবি তোলেন, কথা বলেন। আমার ভীষণ আনন্দ হয়। আমিও আমার ভক্তদের ভক্ত। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, আমি অনেক মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি।
প্রশ্ন : দেশের সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ আছে কি?
উত্তর : খুব ভালো যোগাযোগ রয়েছে। ফোনে, ফেসবুকে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। অনেকে আমার খোঁজখবর রাখেন। এ ছাড়া যাঁরা এখানে ঘুরতে ও শুটিং করতে আসেন, তাঁরা সবাই আমার সঙ্গে দেখা করেন। আর এখানে তো টনি ডায়েস ভাইয়া, রোমানা ও মিলা আপু আছেন। তাঁদের সবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয়।
প্রশ্ন : বাইরে চাকরি করতে কেমন লাগছে?
উত্তর : খারাপ নয়। আমি মনে করি, আমার অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আর শেখার তো কোনো শেষ নেই। চাকরিতে আগের চেয়ে আমার পজিশন হাই হয়েছে। কিকো মিলানো ইতালিয়ান একটা কসমেটিকস ব্র্যান্ড। ১৯৯৯ সাল থেকে এই ব্র্যান্ড ভালোভাবে চলছে। আমি এই ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশেও ব্যবহার করেছি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্র্যান্ডটি ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন : দেশে ফেরার ইচ্ছা আছে কি?
উত্তর : দেশকে অনেক মিস করি। আমার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দেশে ফিরব। এখানে স্থায়ীভাবে থাকার ইচ্ছা নেই। দেশ ফিরে আবারো অভিনয়ে ফিরব।
প্রশ্ন : বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা কবে নাগাদ শেষ হতে পারে?
উত্তর : সেটা এখনো জানি না। কাজ খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।