ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রোববার প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে রয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো ভোটযুদ্ধে থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
নির্বাচনে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ম্যাক্রোঁর মূল লড়াইটা হবে কট্টর-ডানপন্থি প্রার্থী মারিন ল্য পেনের সঙ্গে। মারিন ল্য পেন শক্তিশালী প্রচারণার মাধ্যমে নিজের অবস্থান অনেকটাই পোক্ত করে নিয়েছেন।
সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, মধ্য-ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট ম্যক্রোঁর সঙ্গে মারিন ল্য পেনের ব্যবধান খুবই কম। নির্বাচন ১৪ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রথম ধাপের ভোটে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে যে দুজন প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তারা দ্বিতীয় ধাপের ভোট অর্থাৎ, রান-অফে অংশ নেবেন।
প্রথম দফায় কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে ২৪ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হতে পারে।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রাধান্য বিস্তার করায় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড গড়ায় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর জনপ্রিয়তাও বেড়েছিল।
তারপরও অজনপ্রিয় কিছু পরিকল্পনার কারণে ম্যক্রোঁর সমর্থন কমেছে। অবসরের বয়স বাড়ানো এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
অন্যদিকে, মারিন ল্য পেন দৃষ্টি দিয়েছেন আভ্যন্তরীন নানা ইস্যুতে এবং ইউরোপের বাইরে থেকে অভিবাসীর সংখ্যা অনেকাংশে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অভিবাসনের সংখ্যা কমাতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন ল্য পেন।
গত ছয়মাস ধরে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে তাতে ম্যাক্রোঁকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেলেও পরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার ব্যবধান কমেছে। বাদবাকী প্রার্থীদের তুলনায় বেশ ভালভাবেই এগিয়ে আছেন মারিন ল্য পেন।
তবে রোববার ফ্রান্সের বড় বড় শহরগুলোতে ভোট শুরুর আগের দিন চালানো ইপসোস জনমত জরিপে দেখা যায়, ৩৭ শতাংশ ভোটারই তখন পর্যন্ত কাকে ভোট দেবেন তা মনস্থির করেননি।
নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর প্রধান ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনজন ডানপন্থি এবং দুজন বামপন্থি ফরাসি রাজনীতিবিদ।