বাবার কোলে দুর্বৃত্তের গুলিতে ঝাঁঝরা শিশু, আটক ৩
মা-বাবার কোল শিশুদের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। সেই বাবার কোলেই গুলিতে ঝাঁঝরা হলো চার বছরের নিষ্পাপ শিশু জান্নাতের ছোট্ট শরীর। হতভাগ্য বাবা আবু জাহের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, আজ সকালে শিশু জান্নাতের মরদেহ বেগমগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ বলছে, বেগমগঞ্জের দুর্গাপুরে একটি মুদির দোকানে পূর্ব-শত্রুতার জেরে রিমন নামের এক ব্যক্তি পাঁচ থেকে ছয় জন সহযোগী নিয়ে মামুন নামের অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়ন তা দেখে মামুনের মামা আবু জাহের সন্তানকে কোলে নিয়েই এগিয়ে যান। তখনই রিমন ও তাঁর সহযোগীরা গুলি চালান। প্রথমে মামুনকে এবং পরে আবু জাহেরকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এরপর তাঁরা দ্রুত এলাকা ছাড়েন।
গুলিবিদ্ধ আবু জাহের ও তাঁর শিশু কন্যাকে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে কুমিল্লায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে জান্নাত।
জান্নাতের মা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। তিনি দুই মাস ১০ দিন হলো এসেছেন। বাচ্চার জন্যেই এসেছিলেন। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই। আমি চাই জড়িতদের ফাঁসি হোক। আল্লাহও তাদের বিচার করুক।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় হাজিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আজিম মির্জা বলেন, ‘স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থাকতে পারে অথবা জনপ্রতিনিধি থাকতে পারে। যেই থাকুক, তাঁদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে আমাদের হাজিপুরে বারবার এসে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমাদের এলাকায় মায়ের বুক খালি হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।’
এদিকে, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা। তবে, কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।