যুদ্ধে ইউক্রেনের অবকাঠামোগত ক্ষতি ছয় হাজার কোটি ডলার
রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ মোট অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের এক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ম্যালপাস বলেন, ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা নিরূপণে প্রাথমিক যে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে, তাতে সেদেশের যুদ্ধের পেছনে বেড়ে চলা আর্থিক খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যুদ্ধ এখনও চলছে, তাই এসব খরচও বাড়ছে।
বিশ্ব ব্যাংকের সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি আরও বড় পরিসরের খরচ ও আর্থিক চাহিদার কথা তুলে ধরেন।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের কারণে তার দেশের যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা পোষাতে মাসে ৭০০ কোটি ডলার দরকার। এবং পরে এই ধ্বংসাবশেষ পুনর্গঠনে ‘শত শত কোটি ডলার’ প্রয়োজন হবে।
রাশিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে সব দেশের অবশ্যই ‘ত্বরিত পদক্ষেপ’ নিতে হবে।
আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন সভার পার্শ্ব কর্মসূচি হিসেবে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
যেসব দেশ রাশিয়ার অর্থ জব্দ করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছে, সেসব দেশের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান, ওই অর্থ তারা যেন ইউক্রেনের পুনর্গঠনে এবং অন্য যেসব দেশ এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তার জন্য খরচ করে।
এ সম্মেলনে সশরীরে অংশগ্রহণকারী ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল জানান, যুদ্ধের সরাসরি ক্ষতির বিবেচনায় ইউক্রেইনের জিডিপি এ বছর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে যাবে এবং পরোক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে যা ইউক্রেইনের অর্থনীতির আকারের তিনগুণ, ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী সেদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার।