দুর্বল হয়ে পড়েছে ‘অশনি’, রূপ নিতে পারে ‘গভীর নিম্নচাপে’
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্নিঝড় আকারে ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও আশপাশের পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে দাবি অধিদপ্তরটির।
তবে, অধিদপ্তর থেকে গতকাল পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার, দুটি বিজ্ঞপ্তিতে একই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে দুই বিজ্ঞপ্তিতেই।
এদিকে, এনটিভির মোংলা প্রতিনিধি আবু হোসাইন সুমন জানিয়েছেন, আজ বুধবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার ও রোদ্রৌজ্জ্বল ছিল। তবে, ৯টার পর মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মেঘে ঢাকা পড়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এ এলাকা। সেইসঙ্গে শুরু হয় মেঘের গর্জন, বৃষ্টি ও বাতাস। কিন্তু, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এক ঘণ্টা, অর্থাৎ ১০টার পরপরই মেঘ-বৃষ্টি-ঝড় কাটিয়ে হেসে ওঠে মোংলার আকাশ।