ইউক্রেনে আগ্রাসনই হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু : জর্জ সরোস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ী জর্জ সরোস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘বর্তমান সভ্যতা হয়তো রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন উৎরে যেতে পারবে না। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়তো শুরু হয়ে গেছে।’
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের চলমান সম্মেলনে বক্তৃতায় এমনটি বলেন জর্জ সরোস। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্মেলনে বিনিয়োগকারী ও দাতারা বলেছেন, ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনায় ইউরোপের ভিত নড়ে উঠেছে।
সর্বশক্তি ব্যয় করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ থামানো যায় সেই চেষ্টা করার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জর্জ সরোস। তিনি বলেন, ‘আমাদের সভ্যতার সুরক্ষার একমাত্র উপায় হলো, যত দ্রুত সম্ভব পুতিনকে পরাজিত করা।’
সরোস আরও বলেন, ‘রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা সত্ত্বেও যতটা শক্তিশালী মনে করা হতো, তার চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ইউরোপ। পুতিন ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি না করে মজুত করেছে। বাজারে গ্যাসের ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। তবে জুলাই নাগাদ রাশিয়া গ্যাস মজুদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় তা বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং তা ইউরোপের কাছেই বেচতে হবে।’
মার্কিন এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম, ইউরোপকে বেকায়দায় ফেলে জিম্মি করার খেলায় পটু খেলোয়াড় পুতিন। কিন্তু যতটা মনে করেছিলাম ততটা নন তিনি।’
অন্যদিকে, ইউরোপও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে কাজ করছে। এ বছরের শেষ নাগাদ এই নির্ভরতা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে ফেলতে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জার্মানির দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে রাশিয়ার গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়া শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এ ছাড়া হাঙ্গেরি রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে।