উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, উত্তেজনা প্রশমনে ভারত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাতে করে কোনো অস্থিতিশীলতা না হয়, উত্তেজনা না হয় সেজন্য ভারত কাজ করছে।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় আগামী ১৯ জুন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও পাটের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক, নদী ও সীমান্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত রাজি হয়েছে। এমনকি আমাদের বেসরকারি খাতও ভারত থেকে গম আমদানি করতে পারবে। তবে তারা তৃতীয় কোনো দেশের কাছে বিক্রি করতে পারবে না।
যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক বিষয়ে ড. মোমেন, গত মাসে আসামে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছিলাম জেআরসি করার জন্য। কিন্তু সেটা হয়নি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিন বছর পর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয়েছে গতকাল। আমরা প্রথম একটি গ্রুপ পাঠাতে চাই। কিন্তু দিন-তারিখ ঠিক হয়নি। তবে আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তথ্য দিয়েছি। কিন্তু এর মধ্যে যাচাই-বাছাই হয়েছে মাত্র ৫৮ হাজারের।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার সর্বোচ্চ ফোরাম যৌথ পরামর্শ কমিশন বা জেসিসির বৈঠক আগামী ১৯শে জুন নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তমবারের মতো জেসিসি বৈঠকে বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ফিজিক্যাল ওই বৈঠকে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আর সমান সংখ্যক প্রতিনিধিদল নিয়ে বৈঠক হোস্ট করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। আগামী ১৮ই জুন রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে।