জার্মানির হাতে মাত্র আড়াই মাসের গ্যাস মজুদ আছে
ইউরোপের দেশ জার্মানির হাতে আর মাত্র আড়াই মাসের গ্যাস মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির প্রধান ক্লাউস মুলার। এ অবস্থায় জার্মানিতে গ্যাসের দাম তিনগুণ বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ক্লাউস মুলার জানান, সমস্যা এখনই শুরু হবে না। কিন্তু, জার্মান প্রশাসনের চিন্তার কারণ হলো, মাত্র আড়াই মাস চলার মতো গ্যাসের মজুদ তাদের হাতে থাকায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি তথা গ্যাস না পেলে বিপাকে পড়বে দেশটি।
এদিকে, গ্যাস কিনতে যে বাড়তি দাম লাগছে, তা ক্রেতাদেরই বহন করতে হবে। খবর ডয়েচে ভেলের।
ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির প্রধান বলেছেন, যদি জার্মানির কাছে গ্যাসের পুরো মজুদ থাকত, তাহলে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর এখন নির্ভর করতে হতো না। কিন্তু, হাতে মাত্র আড়াই মাস চলার মতো গ্যাস আছে। তারপরই ট্যাংকগুলো সব খালি হয়ে যাবে।
তাঁর মতে, জার্মানিকে গ্যাস বাঁচাতে হবে এবং অন্য জায়গা থেকে গ্যাস আনার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্য একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম তিনগুণ বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে জরুরি গ্যাস পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ করেছে জার্মানি। সেখানে সরবরাহকারীদের ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মুলার বলেছেন, যদি জার্মানিকে এই পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায় রূপায়ণ করতে হয়, তাহলে ভয়ংকর পরিণতি হবে। তখন গ্যাস রেশন করা হবে, প্রয়োজনভিত্তিক অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে, জার্মানি ও অন্য ইইউভুক্ত দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু বার্লিন এখনও রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করেনি। নিষেধাজ্ঞাও জারি করেনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, নর্ড স্ট্রিমের মাধ্যমে তারা জার্মানিকে যে গ্যাস দেয়, তার সরবরাহ আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। তারা ফ্রান্স, ইতালিকেও কম গ্যাস দিচ্ছে। অবশ্য কাতার থেকে গ্যাস আনার জন্য সম্প্রতি চুক্তি করেছে জার্মানি।