ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করার শর্ত মেনে নেওয়ায় ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করে দেশটি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি জানান, এ চুক্তি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
গত বছর জুলাইয়ে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তি ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে সমঝোতা হয়।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে শত শত কোটি মার্কিন ডলারের জব্দ করা ইরানের সম্পদ ছেড়ে দেওয়া হবে এবং দেশটি বিশ্ববাজারে তেল বিক্রি করতে পারবে।
আইএইএ জানিয়েছে, তাদের পরিদর্শকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে চুক্তির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে ইরান।
চুক্তির অংশ হিসেবে ইরান সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে ফেলে এবং আরাক শহরের কাছের একটি ভারী পরমাণু চুল্লি ধ্বংস করে ফেলে। এ দুটিই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জন কেরি। এখানে তিনি বলেন, ‘ইরান যে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে মানুষের মন থেকে এখন সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি টুইটারে বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং ধৈর্য ধরার জন্য জাতির মহানুভবতার কাছে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরমাণু চুক্তির পরও ইরান এই অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেনি। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে ও বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, ‘বেশ কিছু বছরের ধৈর্য ও কূটনৈতিক স্থিরতা এবং কঠিন কাজ করার মধ্য দিয়ে এ ফল এসেছে।’