আইসিসিতে এখন গুরুত্ব পায় বাংলাদেশ
আগের চেয়ে ক্রিকেটে অনেক ব্যস্ত সময় পার করে বাংলাদেশ দল। আগামী চার বছরের চক্রে আরো বাড়বে এ ব্যস্ততা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগামী চার বছরের ভবিষ্যৎ সফরসূচি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান-এফটিপি) প্রায় চূড়ান্ত করার পথে আইসিসি। যেখানে আগামী দুই চক্র মানে ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ এবং ২০২৫ সাল থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ১৪৪টি ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
দুই চক্রে এতগুলো ম্যাচ পাওয়াকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তাঁর মতে, আইসিসিতে বাংলাদেশে এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ বলেই গন্য হয়। তাই ম্যাচ সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশের বাইরে সিরিজেও বাড়ছে আধিক্য।
আজ মঙ্গলবার বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে আইসিসির চক্রের প্রসঙ্গ উঠলে এমনটা জানান নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘আইসিসিতে বাংলাদেশকে এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবেই গন্য করা হয়। এটা কিন্তু বোর্ডের কারণে নয়, এটা করা হয় ক্রিকেটের জন্য। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের জন্য এটা করা হয়। ক্রিকেটাররা ভালো করছে তাই আইসিসি থেকেও গুরুত্ব পাওয়া যাচ্ছে।’
বোর্ডপ্রধান আরো বলেন, ‘আগে অন্য দলগুলো আমাদের এখানে এসে খেলতে চাইতো। ওরা ভাবত, বাংলাদেশ গেলে ওদের দর্শকেরা বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা দেখবে না। কিন্তু সেই চিত্র এখন পাল্টেছে। এখন ওরা আমাদের আসতে কম চায় বরং ওদের দেশেই ডাকছে এখন। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। তবে এটা আমাদের জন্য শেখার ধাপ। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য ভালো দিক।’
ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী চার বছরের দুই চক্রে মোট ৩৪টি টেস্ট পাবে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে ২০২৩-২০২৫ চক্রে ছয়টি সিরিজ এবং ২০২৫-২০২৭ চক্রে থাকছে আরও ছয়টি টেস্ট সিরিজ।
দুই চক্রে সর্বোচ্চ ৪২টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া পাবে ৪১টি আর ভারত পাবে ৩৮টি টেস্ট এবং নিউজিল্যান্ড পাবে ৩২টি।
এ ছাড়া এই চার বছরে ৫৯ ওয়ানডে এবং ৫১টি টি-টোয়েন্টি পাবে বাংলাদেশ। চাইলে দেশগুলো নিজেদের মধ্যেও আলোচনা করে সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২০২৫ চক্রে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশ যাবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান সফরে।
দ্বিতীয় চক্রে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট খেলতে যাওয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এই চক্রে সিরিজ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। আর নিজেদের মাঠে খেলবে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।