রমনা থানার ওসির বিরুদ্ধে দুদকে চিঠি
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের রাজধানীতে আটতলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে চিঠিটি দিতে যান সুমন। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বরাবর পাঠানো চিঠিতে ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধানপূর্বক আইনি পদক্ষেপ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার ওই ওসির সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুমন। তবে, তাকে এ বিষয়ে দুদকে আবেদন জমা দিতে বলেন হাইকোর্ট। ব্যারিস্টার সুমন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, বিষয়টি আদালতের নজরে আনা দরকার। দুদকের তদন্তের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা।’
সুমন বলেন, ‘দেশে অসংখ্য সৎ পুলিশ অফিসার রয়েছে। কিন্তু, এই ওসির মতো যদি সবাই এত সম্পদ বানান, তাহলে সৎ অফিসার যারা, তারা মনে অনেক বেশি কষ্ট পাবেন। এর ফলে দেশে আর সৎ অফিসার নাও হতে পারেন।’
দুদকে পাঠানো চিঠিতে সুমন বলেন, ‘১৯৯২ সালে মনিরুল ইসলাম এসআই পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ওই সময়ে ওই পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে ইন্সপেক্টর পদে তার পদোন্নতি হয়। একজন সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে মনিরুল চার বছর আট মাস দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি বসিলায় চার কাঠা জমির ওপর আট কাঠা বাড়ি নির্মাণ করেন।’
‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি একটি সংস্থার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। সুমনের মতে, বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওসি ওই অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা মনিরুল বেতন ২০ হাজার টাকা এবং সাকুল্যে ৫০-৭০ হাজার টাকা পান। মনিরুল যে বেতন পান এর তুলনায় তার অর্জিত সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি।
জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম, যখন এই পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।