মুন্সীগঞ্জে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হট্টগোলে পণ্ড
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও পদ্মার ভাঙনরোধে মানববন্ধন শুরুর আগেই হট্টগোলে পণ্ড হয়ে গেছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এ নিয়ে রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আজ শনিবার সকালে এই মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল।
জানা যায়, মানববন্ধনের আগে লৌহজং উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি বাবুল শেখ ও উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক অনয় হাসান বেপারীর নেতৃত্বে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ের সামনে ঘোড়দৌর বাজারে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় তেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু নাসের রতন মানববন্ধনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি করলে হট্টগোল শুরু হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়।
মানববন্ধনের আয়োজক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনয় হাসান বেপারী জানান, আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে বালদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। গতকাল এই মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। পুলিশের অনুরোধে তারিখ পরিবর্তন করে আজকে নির্ধারণ করা হয়। সকাল ১০ টার দিকে চার থেকে পাঁচশ লোক নিয়ে মানববন্ধনের জন্য পূর্ব নির্ধারিত জায়গায় গেলে পুলিশ এসে আমাদের মানববন্ধন পণ্ড করে দেয়।
এ বিষয়ে তেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু নাসের রতন বলেন, ‘বাধা দেব কেন? আমারও তো রিসোর্ট ছিল, পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে। আসলে এখানে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা অনয় হাসান বেপারী বিএনপির অর্থায়নে লোকজন জড়ো করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল।’
রতন আরও বলেন, ‘আমরা চাই, অবৈধ বালুকাটা বন্ধ হোক। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি ট্রলার জব্দ, বল গেট মেশিন জব্দ করা হয়েছে। যেসব জায়গায় ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে, সেখানে এরইমধ্যে একদিনে পাঁচ হাজার বস্তা বালুর ব্যাগ ফালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর জানান, মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া আয়োজকরা মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি নেয়নি।