মেঘনায় নিখোঁজ দুই মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদীতে পিকনিকে এসে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র শহিদুল ইসলাম মাহফুজের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজের ৪১ ঘণ্টা পর আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালের মেঘনা নদী থেকে মাহফুজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পিকনিকে এসে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামার পর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় দুই ছাত্র। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর গতকাল শুক্রবার বেলা একটার দিকে নদী থেকে মো. গালিব হক (১৫) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার একদিন পর আজ শহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্ররা হলো- পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার দড়িপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. গালিব মিয়া (১৫) এবং রায়পুরা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সহিদুল ইসলাম মাফফুজ (১৭)। তারা উভয়েই সদর উপজেলা ঘোড়াদিয়া মুহম্মদিয়া ইন্টারন্যাশনাল তাহফুজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং উভয়ে কোরআনে হাফেজ।
নৌ-পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার বার্ষিক বনভোজনে শিক্ষকসহ ৩২ জন আলোকবালী ইউনিয়নের চর আফজালে যায়। বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামে। সবাই উঠে এলেও দুজনকে পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার সকালে টঙ্গী থেকে ৫ সদস্যের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে ১টার দিকে গালিবের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মাহফুজের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর মাহফুজের কোনো সন্ধান না পেয়ে অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হলে সকাল ১০টায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কচুরিপানার মধ্য থেকে মাহফুজের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।
করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘নদী কচুরিপানাতে ভরা। কচুরিপানার মধ্যে আটকে থাকা মাহফুজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার দ্বিতীয় দিন গালিবের মরদেহ উদ্ধার করে আমরা তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছিলাম। এ ঘটনায় কেউ এখনও কোনো অভিযোগ করেনি।