‘ভোট দিয়েছি, টাকা ফেরত দেব কেন’
গত ১৭ অক্টোবর সম্পন্ন হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত সদস্যের হুমকি-ধমকিতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। তিনি বলেন, ‘ভোট দিয়েছি, টাকা ফেরত দেব কেন?’
আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোর্শেদা বেগম এ অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই নারী জনপ্রতিনিধি।
মোর্শেদা বেগম জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউনিয়া উপজেলার সাধারণ সদস্য পদে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেন আলতাব হোসেন। তিনি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে ভোটের দুদিন পর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাকে ফোনে হুমকি দেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর বাড়ির পাশে বাজারের এক দোকানের সামনে তাকে (মোর্শেদা) আটকে টাকা ফেরত চান।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আলতাব তাকে নাজেহাল করেন অভিযোগ করে মোর্শেদা বেগম বলেন, তখন টাকা ফেরৎ না দিলে চরমভাবে বেইজ্জতি করবেন বলে শাসিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোর্শেদা বেগম।
ওই সংবাদ সম্মেলনে হারাগাছ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মকবুল ছালাম, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ওবায়দুল হক, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মনিরুজ্জামান এবং ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য শেফালী বেগমের স্বামী নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে টেলিফোনে কয়েক দফা চেষ্টার পরও ফোন না ধরায় জেলা পরিষদ সদস্য আলতাব হোসেনের বক্তব্য জানা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্য মকবুল ছালাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটের জন্য আমাদের জোর করে টাকা দেন, আমরা যারা টাকা নিতে চাইনি তাদের নানাভাবে বাধ্য করেছেন। ভোট পেয়ে প্রার্থী আলতাব হোসেন জয়লাভ করার পরও নিরীহ একজন মহিলা মোর্শেদা বেগমের জীবন বিপন্ন করে তুলেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’