সিরিয়ায় রক্তপাত কি চলতেই থাকবে?
সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের উদ্যোগে সংলাপ শুরু হয়েছিল জেনেভায়। কিন্তু দুদিন না যেতেই সরকার ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে নস্যাৎ হয়ে গেছে সংলাপ প্রচেষ্টা। আর সে কারণে দেশটিতে রক্তপাত বন্ধ হওয়া নিয়ে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার সিরিয়ার বিরোধীদের প্রধান জোট হায়ার নেগোসিয়েশনস কমিটির (এইচএনসি) সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের দূত স্তেফান দি মিসতুরা। ওই বৈঠকের পর তিনি জানালেন, সরকার ও বিরোধীদের মধ্যকার আলোচনার জন্য নতুন দিন ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।
‘এটাই শেষ কথা নয়। সংলাপ ব্যর্থও নয়। উভয়েই (সরকার ও বিরোধীপক্ষ) এসেছে এবং থেকেছে। উভয় পক্ষই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছে’, বলেন মিসতুরা।
জাতিসংঘের ওই দূতের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এইচএনসির প্রধান রিয়াদ হিজাব বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল জেনেভা ছেড়ে সিরিয়ায় যাবে। সেখান থেকে আর ফিরে আসবে না।
রিয়াদ বলেন, তৃণমূল পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীরা সংলাপে বসবে না। যেকোনো সংলাপ হতে হলে আগে সরকারকে বিমান হামলা বন্ধ করতে হবে।
এর আগে বুধবার সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের (এসএনএইচআর) বরাত দিয়ে এইচএনসি বলেছে, জানুয়ারির ২৯ তারিখ থেকে জেনেভায় সংলাপ শুরু হয়েছে। অথচ এ সময়ে রাশিয়া ও সিরীয় সরকারের হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০০ বেসামরিক মানুষ।
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাতে গত পাঁচ বছরে আড়াই লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক খাদ্যসংকট।