জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘অবৈধভাবে আটকে’ রাখা হয়েছে দাবি জাতিসংঘের
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি দিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইকুয়েডরের দূতাবাসে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘অবৈধভাবে আটক’ রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে আটকবিষয়ক জাতিসংঘের একটি দল আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘের আদেশের পর এখনো পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও সুইডেন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডরে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন এই অস্ট্রেলীয়। সুইডেনে একটি ধর্ষণ মামলায় ফেরারি অ্যাসাঞ্জ। তবে সুইডেনে গেলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে আশঙ্কা করা হয়। যুক্তরাজ্যের গোপন নথি ফাঁসের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দেশটিতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আছে।
অবৈধভাবে আটকবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সিয়ং-ফিল হং বলেন, বিভিন্নভাবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্বাধীনভাবে চলাফেরায় প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আটকাবস্থার ইতি টানতে হবে। তাঁকে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার দিতে হবে।
জাতিসংঘের আহ্বানের পর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আজই দিনের কোনো একসময়ে তাঁর সংবাদ সম্মেলন করার কথা।
এর আগে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আটক রাখা অবৈধ কি না জানতে চেয়ে রুল করেন জাতিসংঘের আইনজীবীরা।
সুইডেনের সরকারপক্ষের আইনজীবীর মতে, জাতিসংঘের রুলে বর্তমান অবস্থার কোনো পরিবর্তন নাও ঘটতে পারে। জাতিসংঘের প্রস্তাবকে মানতেই হবে এমন না ভেবে, কোনো মত হিসেবেই দেখতে পারে যুক্তরাজ্য সরকার।