মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজটি এখনও উদ্ধার হয়নি
ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে জাহাজ ডুবির প্রায় ৪০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রমই শুরু করা সম্ভব হয়নি। ভোলার মেঘনা নদীতে তুলাতুলি এলাকায় গতকাল রোববার এ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে জাহাজ ডুবির ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অকটেন ও ডিজেল বোঝাই জাহাজ ডুবির ঘটনায় অবশেষে মালিকপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে জাহাজটি উদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার মো. মাসুদুর রহমান বেল্লাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে সাগর বধূ-৩ নামে একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। আজ সোমবার বিকেলের দিকে আরেকটি জাহাজ এসে পৌঁছাবে। দুটি জাহাজ দিয়ে ওই ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
এর আগে আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে তেল উদ্ধারকাজ জোয়ারের কারণে বন্ধ করেছে কোস্টগার্ড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. এম হাসান মেহেদী।
অপরদিকে তেলবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির এজিএম মো. আনোয়ার হোসেন। তবে সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি ইলিশ বাড়ি পর্যটনকেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পিছন দিক থেকে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে ডুবে যায় সাগর নন্দিনী-২ নামে তেল বোঝাই জাহাজটি। জাহাজটির স্টাফরা জানিয়েছেন, শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ টন অকটেন ও ডিজেল লোড নিয়ে চাঁদপুরের ৫ নম্বর ঘাটে পদ্মা ডিপোর উদ্দেশে ১৩ জন স্টাফসহ রওনা হয়েছিল জাহাজটি। ডুবে যাওয়া জাহাজের সব স্টাফকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।