সাম্পান যোগে কবিদের শান্তির বার্তা
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে ২০টি সাম্পান যোগে দেড় শতাধিক কবির বার্তা পাঠানো হয়েছে। সাগর পাড়ি দিয়ে এই শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়।
বার্তা পাঠে বলা হয়, মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। সংঘাত, হানাহানি পরিহার করে নতুন এক শান্তির বিশ্ব বিনির্মাণে মানুষ আবার সংগ্রামে নামবে। মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।
আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টের সৈকতে দেশ-বিদেশের কবিরা একযোগে শান্তির বার্তাবাহী এসব সাম্পান ভাসিয়ে দেওয়ার আগে এমন ঘোষণা দেন।
কক্সবাজারে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা মেলা-২০২২ দ্বিতীয় দিন এমন কর্মসূচি পালন করেন কবিরা। সকালে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি। এরপর সাদা পতাকা হাতে কবিতার শান্তির যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসে শেষ হয়।
ওখানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা, কবিতা মেলার পতাকা ও রাইটার্স ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও আলোচনা। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি আসাদ মান্নান, শেখ রবিউল হক, কবি হাসানাত লোকমান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, মেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. নজিবুল ইসলাম এতে বক্তব্য দেন।
এ সময় কক্সবাজারের নানা ক্ষেত্র বিবেচনায় কবিতা মেলার পক্ষে পাঁচজন কবিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন–মাস্টার শাহ আলম, সুলতান আহমেদ, খালেদ মাহবুব মোর্শেদ, আসিফ নূর ও মানিক বৈরাগী। বিকেলে কবিতা মেলা মঞ্চে শান্তির ঘোষণা, ফানুস বাতি উত্তোলন, কবিতা বন্ধনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব নুপা আলম জানিয়েছেন, মেলার শেষ দিন আগামীকাল রোববার রামু শতফুট বৌদ্ধ মূর্তি পরিদর্শন, কবিতা পাঠ, ঈদগাঁওতে হুদা পাঠাগার উদ্বোধন, ঈদগাঁও স্কুলে আলোচনা ও কবিতা পাঠের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।