দুদকের সেই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ৫৬টি মামলা করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, তা সাত দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে রুলের শুনানির সময় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আরো বলা হয়, বেসিক ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যত তদন্ত প্রতিবেদন রয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান থাকাকালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর ঋণবিষয়ক সিদ্ধান্তসহ পরিচালনা পর্ষদের সব সভার কার্যবিবরণীও আদালতে জমা দিতে হবে।
শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মুজিবুর রহমান। এ মামলায় রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জেড আই খান পান্না।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের করা মামলা-সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট। দুদকের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
নোয়াখালীর হারুন-অর-রশিদ নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থে ওই রিট আবেদন করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে চার বছর তিন মাসে ব্যাংকটি ছয় হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা নিয়ম ভেঙে দেওয়া হয়। ব্যাংকটির গুলশান, শান্তিনগর ও দিলকুশা শাখার মাধ্যমে ঋণের অনিয়ম উদ্ঘাটন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল।
আর্থিক কেলেঙ্কারি, নিয়োগ, পদোন্নতিতে দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয় ও বেসিক ব্যাংকের নানা প্রতিবেদনে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার চিত্র উঠে আসে। তবে বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ ও এর তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর কোনো ধরনের অনিয়ম খুঁজে পায়নি দুদক। বাচ্চু ও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দিয়েই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ৫৬টি মামলা করে দুদক।