সব সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা শেখা ও পড়ার সুযোগ থাকতে হবে : বীর বাহাদুর
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব মাতৃভাষা শেখা ও পড়ার সুযোগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে সবার জন্য নিজস্ব মাতৃভাষা শিখতে, লিখতে ও পড়তে সুযোগ করে দিয়েছেন।’
রাঙামাটি জেলা সদরের আসামবস্তিতে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস)-এর অডিটোরিয়াম ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে কোনো গুলি খরচ না করে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে শান্তিচুক্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করেছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের সহাবস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন।’
বাংলাদেশের সবার কল্যাণে সকল ধর্মের, বর্ণের, ভাষার, সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বীর বাহাদুর।
বীর বাহাদুর বলেন, ‘অতীতের কোনো সরকারই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে নাই। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে এখানে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নাই।’
এ সময় আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত করে পার্বত্য তিন জেলার উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চান পার্বত্যমন্ত্রী।
মারমা সংস্কৃতি, মারমা ভাষা, মারমাদের পোশাক-আশাক, মারমাদের বর্ণমালা সংরক্ষণ ও হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলোকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোক্তা মাসস এর সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে একটি মারমা ভাষাভিত্তিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘পার্বত্য জেলার ১১টি সম্প্রদায়কে তুলে ধরা হয়েছে। আগের মতো এখানে বাঁশি বাজবে, গান হবে, ভাষাকে সংরক্ষণ করা হবে।’ পার্বত্য অঞ্চলে সমষ্টিগতভাবে কাজ করা হবে বলেও মত দেন দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার এমপি দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, মারমা সংস্কৃতি সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা চিংকিউ রোয়াজা, মাসস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমীন বক্তব্য দেন।