ভোটের আগেই ভোট!
আগামী ২২ মার্চ বেড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থান থেকে যাতে একাধিক প্রার্থী নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে কারণে নির্বাচনের আগে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচন দিয়ে প্রার্থী বাছাই করল আওয়ামী লীগ।
গতকাল রোববার ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যান পদে নয়জন প্রার্থী বাছাই করে আওয়ামী লীগ। গতকাল সকাল থেকে বেড়া পৌর মেয়রের কার্যালয়ে দিনব্যাপী গোপন ভোটে চলে এ প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ।
ভোটে বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নে মো. কোরবান আলী, মাসুমদিয়া ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম শহিদ, রূপপুরে নুরুল ইসলাম নুরু মোল্লা, হাটুরিয়া নাকালিয়ায় মো. আবদুর রহিম, পুরান ভারেঙ্গায় মো. আবুল হাশেম, নতুন ভারেঙ্গায় আবু দাউদ, কৈটলায় মো. শওকত আলী, জাতসাখিনী ইউনিয়নে মো. রাঙা এবং চাকলায় মো. সরোয়ার হোসেন সর্বোচ্চ ভোট পান।
বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বাতেন প্রার্থী বাছাইয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই তৃণমূল থেকে প্রার্থী নির্বাচনে আমরা ভোটের ব্যবস্থা করেছি। আর যাতে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে, সে জন্য সবার মুচলেকা বা লিখিত নিয়ে আমরা প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন করেছি।’
তবে তাঁদের মধ্যে ঢালারচর ইউনিয়নে মো. কোরবান আলী, মাসুমদিয়া ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম শহিদ, রূপপুরে নুরুল ইসলাম নুরু মোল্লা, হাটুরিয়া নাকালিয়ায় মো. আবদুর রহিম, পুরান ভারেঙ্গায় মো. আবুল হাশেম, নতুন ভারেঙ্গায় আবু দাউদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়।
কৈটলায় মো. শওকত আলী, জাতসাখিনী ইউনিয়নে মো. রাঙা এবং চাকলায় মো. সরোয়ার হোসেন সর্বোচ্চ ভোট পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীরা তাঁদের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার না করায় এ তিনটি ইউনিয়নে প্রার্থী মনোনীত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে সর্বসম্মত ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এর আগে বেড়া পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে এবং বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদেরের পরিচালনায় নেতাকর্মীরা প্রার্থী বাছাইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নেতা আল মাহমুদ সরকার, আবদুল আজিজ প্রমুখ।