ঘরে তালা মেরে জামায়াত নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিল ছাত্রলীগ
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামী আমির অধ্যাপক আবদুল হাকিমসহ দলটির ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন মান্দারী বাজার থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় নাশকতার মামলাসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ দুপুরে মান্দারী বাজারে নিজামের দোকানের পেছনে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের ভেতরে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে বৈঠক করছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতাদের কক্ষের মধ্যে অবরুদ্ধ করে বাইরে তালা লাগিয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জামায়াত কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় থানা জামায়াতের আমির ও রোকন সদস্য পশ্চিম বটতলীর প্রফেসর আবদুল হাকিম, নোয়াখালী সদর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক হেলালুর রহমান, হাজিরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির, মান্দারী ইউনিয়নের সভাপতি কবির আহম্মদ খান, দত্তপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, দিঘুলীর সভাপতি মাওলানা ইসমাইল, উত্তর জয়পুরের সভাপতি আবদুল হাই, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, জামায়াত কর্মী চরশাহীর মাসুম বিল্লাহ, পূর্ব সৈয়দপুরের সাইফুদ্দিন, পূর্ব রাজাপুরের বাহার উদ্দিন, চাঁদপুরের জামায়াত কর্মী আবু তাহের মিয়াসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।
নাশকতার উদ্দেশ্যে জামায়াত-শিবিরের এসব নেতাকর্মী গোপন বৈঠক করছিলেন বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, জামায়াতের আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধের সময় নাশকতার মামলাসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।