সুদানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব মিসর ও দক্ষিণ সুদানের
সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। তাদের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে মিসর ও দক্ষিণ সুদান। লড়াই শুরু হয়েছিল গত শনিবার (১৫ এপ্রিল), রোববারেও তা চলে। রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য অংশে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। মাঝখানে তিন ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ছিল।
মিসর ও দক্ষিণ সুদান এই বিরোধ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। মিসর ও দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতে, সুদানে উত্তেজনা কমানো জরুরি, না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সেজন্যই তারা মধ্যস্থতা করতে চান।
চিকিৎসকদের সংগঠন জানায়, এই লড়াইয়ে অন্তত ৬১ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ৬০০ জন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মানুষ যেন রাস্তায় না বের হন। স্কুল, ব্যাংক, সরকারি অফিস সব বন্ধ। দুই পক্ষই দাবি করেছে, তারা বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সামরিক নেতা আব্দেল-ফতেহ বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনীর নেতা হামদান ডাগালোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাদের অবিলম্বে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন।
বুরহান দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এখন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ফলে কারা সুদানের দখল নেবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। সেনার পক্ষ থেকে ফেসবুকে বলা হয়েছে, হামদান একজন অপরাধী। তিনিই যুদ্ধ শুরু করেছেন।
এই সংঘর্ষের জেরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে তাদের কাজকর্ম স্থগিত রেখেছে। কারণ তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন এবং দুইজন আহত হয়েছেন। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে তারা কাজ শুরু করবেন না।