মালয়েশিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশিকে গণপিটুনি, গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। গণপিটুনির পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুয়ালালামপুরের শ্রী রামপাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে দ্য স্টার অনলাইন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাবার সঙ্গে রামপাই বিজনেস পার্কের একটি সাইবার ক্যাফেতে আসে ওই কিশোরী। সেখানে একটি ভিডিও গেম খেলায় মগ্ন হয়ে পড়েন মেয়েটির বাবা। সে সময় সে বাবার পাশেই বসে ছিল। এ সময় ক্যাফেতে থাকা ওই বাংলাদেশি মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে পাশের টয়লেটে নিয়ে যান।
কুয়ালালামপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার দাতুক জাইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওই বাংলাদেশিকে অনুসরণ করে কিশোরীটি টয়লেটে যায়। সেখানে তাকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হতে হয়।’
৩০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি মেয়েটিকে ধর্ষণের পর কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দেয়। তবে ঘটনাটি বুঝতে পেরে কিশোরীর বাবাসহ সাইবার ক্যাফের অন্য গ্রাহকরা বাংলাদেশিকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে গণপিটুনিতে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে হয় পুলিশকে।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, গণপিটুনির কারণে পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে আছে ওই ব্যক্তির।
ওই বাংলাদেশির কাছে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না। তাই তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার স্থানীয় আইনে যৌন সহিংসতা, পারিবারিক সহিংসতা ও শিশুর ওপর সহিংতার ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে ওই ব্যক্তিকে সাতদিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির জর্জ টাউনের বায়ান বারুতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়িতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন আরেক বাংলাদেশি।