মনোনয়ন পূরণ করতে গিয়ে জানলেন তাঁরা মৃত
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম, মো. আজাদ ও কবির হোসেন এবার ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র পূরণ করার সময় ভোটার তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পাননি এই তিন প্রার্থী।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জানিয়েছেন তাঁরা। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানানো হয়, ‘মৃত’ ভেবে তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকায় ‘জীবিত’ হতে তিনজনই এখন আবেদন করেছেন।
এই তিন ইউপি সদস্য প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মোট ১১ জন জীবিত ব্যক্তির নাম এভাবে মৃত ভেবে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
ইউপি সদস্য প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম আজ রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করার জন্য ফরম সংগ্রহ করি। ফরম পূরণের সময় ভোটার তালিকায় নিজের নাম খুঁজে না পেয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে যাই। নির্বাচন কর্মকর্তা তালিকায় খুঁজে দেখেন ভোটার তালিকায় আমার নাম কর্তন হয়ে গেছে। পুনরায় নাম নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা আবেদন করতে বললে আমি লিখিত আবেদন করি।’
একইভাবে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজসহ মোট ১১ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে বলে জানান মো. শাহ আলম।
আবদুল আজিজ বলেন, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে এমন ১১ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে মৃত বলে কর্তন করা হয়েছে। ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. দুলাল ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়ে তাঁদের নাম তালিকা থেকে কর্তন করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কমলনগর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির মাহমুদ বলেন, ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন হওয়ায় চারজন আবেদন করেছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন মেম্বার (ইউপি সদস্য) প্রার্থী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কেন তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনের প্রথম দফায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ চার ইউনিয়নের মধ্যে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন রয়েছে।