গাজীপুর থেকে নিখোঁজ ‘পাঠাও’ চালকের মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুরে আশুলিয়ায় তুরাগ নদ থেকে নিখোঁজ ‘পাঠাও’ চালকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গাছা থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (৭ জুন) ওই পাঠাওচালকের বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
নিহত ওই পাঠাওচালকের নাম মো. রিফাত (২০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার এরশাদ নগরের ২নং ব্লকের মো. ফারুকের ছেলে। পূর্ব বিরোধের জেরে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ওই পাঠাওচালকের পরিবার।
রিফাতের পরিবার জানায়, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার এরশাদ নগরের ২নং ব্লকের বাসা থেকে তিনি ‘পাঠাও’ অ্যাপে মোটরসাইকেল চালাতেন। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান একই ব্লকের কাজল (৩২) ও সোহাগ (৩৫)। এরপর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। রাতে বাসায় না ফিরায় তাঁর সন্ধানে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। ওই দুই যুবকের কাছে তাঁর খোঁজ জানতে চাইলে তাঁরা জানেন না বলে জানান।
জিএমপির গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন জানান, বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ জিপিএস ট্র্যাকিং করে রাত দেড়টার দিকে রিফাতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তুরাগ নদের পলাশোনা খেয়াঘাট এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে গাছা থানা পুলিশের সহায়তায় টঙ্গী নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তাঁর খোঁজে তুরাগ নদ ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তল্লাশির একপর্যায়ে পরের দিন (মঙ্গলবার) বিকেলে ওই নদের ভাটিতে আশুলিয়া থানার রৌদ্রপুর এলাকা থেকে তাঁর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর পরনের গেঞ্জি ছেঁড়া ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা বাদী হয়ে আজ বুধবার ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে হত্যার পর মরদেহ গুম চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন পলাতক রয়েছেন।