হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে লাইকার ক্যামেরা
স্মার্টফোনের অনেক ব্যবহারের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যবহার হচ্ছে ছবি তোলা। অনেকেই স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ভালো মানের ক্যামেরাকে।
আর বাজার-বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, স্মার্টফোনের ক্যামেরার এই জনপ্রিয়তার কারণে হয়তো একসময় ডিজিটাল ক্যামেরা উঠেই যাবে বাজার থেকে।
এবার স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিকে আরো উন্নত করতে এগিয়ে এসেছে ক্যামেরা প্রস্তুতকারক জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘লাইকা’। তারা একজোট হয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে।
হুয়াওয়ের চমৎকার মোবাইলের সঙ্গে লাইকার ক্যামেরার এই সংযুক্তি স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে এক নতুন বিপ্লবের জন্ম দেবে বলেই আশা করছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ক্যামেরাবিষয়ক ওয়েবসাইট পেটাপিক্সেলের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ খবর।
২০১২ সাল থেকেই হুয়াওয়ে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হিসেবে স্বীকৃত। শুধু গত বছরই বিশ্বজুড়ে তারা ১০ কোটির বেশি হ্যান্ডসেট বিক্রি করেছে। এর আগে স্মার্টফোন নির্মাতা কোনো চীনা প্রতিষ্ঠানের এমন বিক্রির নজির নেই।
লাইকার সঙ্গে একজোট হওয়ার ব্যাপারে হুয়াওয়ের পরিচালক এবং সিইও (কনজ্যুমার বিজি) রিচার্ড ইয়ু বলেন, ‘ফটোগ্রাফি জগতে লাইকা এক কিংবদন্তি। আমরা বিশ্বাস করি, এই শিল্পে লাইকা আমূল পরিবর্তন এনেছে, যা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি। আমরা হুয়াওয়ে, খুবই গর্বিত আমাদের অসাধারণ মান নিয়ে এবং লাইকাও তাদের নিজেদের শিল্পে বেশ চমৎকার একটি মান বজায় রেখেছে।’
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তি-বিশ্বের নতুন এ জুটি স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি-সংক্রান্ত গবেষণা, উন্নয়ন, ডিজাইন, স্মার্টফোন নির্মাণ, মতামত বিশ্লেষণ, বাজারজাতকরণ থেকে শুরু করে বিতরণের কাজও করবে যৌথভাবে।
হুয়াওয়ের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে লাইকা ক্যামেরার এজি সিইও অলিভার কাল্টনার বলেন, ‘হুয়াওয়ের সঙ্গে এই প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব আমাদের সুযোগ এনে দিয়েছে আমাদের অপটিক্যাল অভিজ্ঞতা নতুন একটি পণ্যে প্রয়োগ করতে এবং মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হয়ে একটি নতুন বাণিজ্যিক পথ উন্মুক্ত করার।’
অলিভার কাল্টনার আরো বলেন, ‘বর্তমান ফটোগ্রাফি জগতে স্মার্টফোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। লাইকার জন্য এখন একটি নতুন টার্গেট গ্রুপ তৈরি হলো।’
লাইকা ও হুয়াওয়ে মিলে আদৌ কীভাবে কাজ করবে, সে ব্যাপারে কেউ কিছু জানায়নি। তবে কাল্টনারের কথা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হুয়াওয়ের ভবিষ্যৎ হ্যান্ডসেটগুলোতে হয়তো লাইকার অপটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার হতে পারে।
আর অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান দুটি বলছে, সময়ের সঙ্গে সবাই সবকিছু জানতে পারবে।