‘পাটন’ নেপালের সবচেয়ে সুন্দর সম্পদ
নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকায় পাটন নামক একটি জায়গা আছে। এটি ললিতপুর নামেও পরিচিত। নেপালের বসতি স্থাপন করা প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে এটি একটি। পাটনকে নেপালের সবচেয়ে সুন্দর সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
পাটন তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর জন্য বেশ জনপ্রিয়। এখানকার রঙিন বাড়িঘর এবং অসাধারণ স্থাপত্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। এই শহরে প্রাচীন মন্দির রয়েছে। যার শিল্পকর্ম যুগ যুগ ধরে প্রশংসিত হয়ে আসছে। এটি নেপালের প্রাণবন্ত শহরগুলোর মধ্যে একটি।
পাটন একটি ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ শহর। যার উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। কাঠমান্ডু এবং ভক্তপুরের পরে পাটন নেপালের তিনটি রাজকীয় শহরগুলোর মধ্যে একটি।
চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত, পাটন মল্ল রাজ্যের রাজধানী হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি মল্ল শাসকদের অধীনে সমৃদ্ধ হয়েছিল। মল্লরা শিল্প ও স্থাপত্যের প্রতি তাদের ভালবাসার জন্য পরিচিত ছিল। সেই ভালবাসা আজও এখানকার প্রাসাদ এবং মন্দিরগুলোতে দেখা যায়।
পাটন বিশ্বের কিছু দর্শনীয় স্থাপত্য বিস্ময়ের আবাসস্থল। এর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দরবার স্কয়ার। যা কিনা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি খোদাই করা কাঠের একটি প্রাসাদ। এখানে রয়েছে প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির। যা দেখতে লাখ লাখ পর্যটক এখানে আসেন।
পাটনের কৃষ্ণ মন্দির আরও একটি জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ। এখানে প্রবেশ করলে তখনকার যুগের কারিগরদের কাজ দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। পাথরে খোদাই করে এই মন্দিরের সোনালি রঙের চূড়া শহরের অন্যতম বিশিষ্ট স্থাপত্য বিস্ময়।
পাটন মিউজিয়াম এই শহরের আরও একটি রত্ন। স্থানটি ধর্মীয় নিদর্শন, ভাস্কর্য এবং শিল্পকর্মের সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়াও, স্বর্ণ মন্দির, রুদ্র বর্ণ মহাবিহার এবং ভীমসেন মন্দির শহরের অন্যান্য বিশিষ্ট স্থাপত্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে কয়েকটি।
আপনি যদি নেপালের শিল্প ও কারুশিল্পের অভিজ্ঞতা নিতে আগ্রহী হন তবে অবশ্যই পাটন থেকে ঘুরে আসুন। যারা নেপালি অভিজ্ঞতা নিতে চান তাদের এই সাংস্কৃতিক জায়গাটি অবশ্যই পরিদর্শন করা উচিত।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া