সময়ের সাথে আগামীর পথে ২১ বছরে এনটিভি
বদলেছে সময়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাপটও। বদলায়নি এনটিভির প্রতিশ্রুতি। সময়ের সাথে আগামীর পথে নিত্য-নতুন আইডিয়া নিয়ে আরও নতুন, আরও তরুণ, আরও অগ্রগামী জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি পার করল আরও একটি বছর। ভিন্ন মাত্রার মানসম্মত নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি চ্যানেলটিতে সম্প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ রয়েছে দর্শকের পছন্দের শীর্ষে; যেখানে রয়েছে সমাজ, রাজনীতি, খেলাধুলা, অর্থনীতি, ধর্ম ও জীবনধারার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য, বিনোদন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটে যাওয়া নানা তথ্য। বাদ যায়নি মত-দ্বিমত, প্রিয় প্রবাস। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে তাই দর্শকের মনজুড়ে আছে এনটিভি।
‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ স্লোগানে ২০০৩ সালের ৩ জুলাই এনটিভির আত্মপ্রকাশ। দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা ও রুচিশীল বিনোদনের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়াই চ্যানেলটির অন্যতম প্রয়াস। এই প্রয়াসে তৈরি নানা আয়োজন শুরুতেই দর্শকের মন কেড়ে নেয়। রুচি ও মান বিচারে বাড়তে থাকে দর্শকপ্রিয়তা। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে দর্শকের মনকে সহজে রাঙিয়ে তুলতে যোগ হয় নতুন নতুন সব পরিকল্পনা। ডিজিটাল দুনিয়ার নানা অঙ্গন মাতিয়ে রাখা এনটিভি কুড়িয়েছে অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। আজ শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেই তাই প্রতিষ্ঠানটি পৌঁছেছে এক কোটি ৯০ লাখের পরিবারে।
এনটিভির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাণী দিয়েছেন। বাণী দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবী, খ্যাতনামা কবি, শিল্পী-সাহিত্যিক, রাজনীতিক, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, বিনোদন অঙ্গনের সারথিসহ অনেকেই। দেশ-বিদেশের অগণিত দর্শকের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী।
এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি : রাষ্ট্রপতি
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (৩ জুলাই, সোমবার) উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বলেন, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ, কলাকুশলী, সংবাদকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের বিকাশ, জনমত গঠন এবং সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। গণমাধ্যমের বিকাশে ও গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে সরকার নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোকে দেশের সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। গণমাধ্যমসমূহ দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অধিকতর দায়িত্বশীলতার সাথে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমি আশা করি ‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এনটিভি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রুচিশীল অনুষ্ঠানমালা, বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে। সৃজনশীল পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এনটিভি জনপ্রত্যাশা পূরণে সফল হোক-এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমি বেসরকারি চ্যানেল এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
এনটিভির সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা : প্রধানমন্ত্রী
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (৩ জুলাই, সোমবার) উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ২০তম বছর পূর্ণ করে ২১ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি এনটিভির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, শুভানুধ্যায়ী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান স্বাধীনতার পর দেশের গণমাধ্যমকে অবারিত ও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতাই প্রথম যিনি স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চর্চার অবাধ সুযোগ দিয়েছিলেন এবং সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও গণমাধ্যমের জাতীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের অবিস্মরণীয় ভূমিকাকে তিনি আখ্যা দিয়েছিলেন সংগ্রামের প্রতিভূ হিসেবে।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৯৬ সালে দেশসেবার দায়িত্ব পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবারের মতো দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেয়। ফলে সম্প্রচার জগতে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করি এবং ‘তথ্য কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় বিকাশ ঘটেছে আমাদের সরকারের গত সাড়ে ১৪ বছরে। এ সময়ে আমরা বেসরকারি খাতে ৪৫টি টেলিভিশন, ২৮টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওসহ অসংখ্য সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টালের অনুমোদন দিয়েছি। আমাদের সরকার দেশের গণমাধ্যমকে অবারিত করতে জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ সহ বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ, যোগ্য কলাকুশলী এবং নির্মাতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ স্থাপন করেছি এবং ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন-২০২২’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকদের কল্যাণে ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদেরকেও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে যা অনলাইন মিডিয়া, আইপিটিভি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রসারে ও তথ্য প্রবাহে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের সম্প্রচার জগতে বিরাট সুযোগের সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল এখন অনেক সাশ্রয়ী খরচে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আমাদের সরকার কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বিকাশ ঘটেছে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে টেলিভিশনকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখলে চলবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এবং দেশজ শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে অবদান রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের যে উত্তরণ, সেই গৌরব অর্জনে গণমাধ্যম আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী। আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে- এই প্রত্যাশা করি।
আমি এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
দেশের স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি : স্পিকার
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (৩ জুলাই, সোমবার) উপলক্ষে এক বাণীতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ২০ বছর পূর্তি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভলগ্নে আমি চ্যানেলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমের উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসনের জন্য শক্তিশালী ও সহায়ক অনুষঙ্গ। সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চায় গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
স্পিকার আরও বলেন, আশা করি তরুণরা, বিশেষ করে নারীরা আরও বেশি সাংবাদিকতা পেশায় আসবেন। তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন। গণমাধ্যমগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী, উচ্চআয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যাশা করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনটিভি মহান জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী অনুষ্ঠান প্রচার এবং নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এনটিভি আগামীতেও সুনামের সাথে সকলের আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।
স্পিকার বলেন, এনটিভি বরাবরের মতো দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রমকে কাজে লাগাবেন বলে আমার প্রত্যাশা।
এনটিভির সমৃদ্ধ পথচলার ২০ বছর পূর্ণ করে ২১ বছরে পদার্পণের এই শুভলগ্নে আমার শুভকামনা রইল। দেশ ও জাতির কল্যাণে গৃহীত তাদের সকল কার্যক্রম সাফল্যমণ্ডিত হোক।
এনটিভি সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করছে : তথ্যমন্ত্রী
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (৩ জুলাই, সোমবার) উপলক্ষে এক বাণীতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনটিভি ২০ বছর পূর্ণ করে ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এনটিভি পরিবারকে এবং এনটিভির সমস্ত দর্শক-শ্রোতাদের অভিনন্দন জানাই।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এনটিভির ২০ বছরের পথচলায় সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছে। সেই সাথে বাঙালি সংস্কৃতি লালন করার চেষ্টা করেছে। গণমাধ্যম সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্র গঠনে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচনে এবং সর্বোপরি জাতি গঠনে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এনটিভির কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, এনটিভি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে অবিরাম পথ চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভাবনীয় উন্নয়ন হচ্ছে; সেই উন্নয়নের পথ ধরে বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে পারি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছাতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। সমাজ, দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করবে। নতুন প্রজন্মকে আরও প্রত্যয়ী করার ক্ষেত্রে কাজ করবে। বিনোদনের পাশাপাশি তাদের এ দায়িত্বগুলো এনটিভি পালন করবে, এটি আমার প্রত্যাশা।
এনটিভিতে সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আশা করি : মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এনটিভি ২০ বছর পূর্ণ করে ২১ বছরে পা দিতে চলেছে। বেশ লম্বা সময়। দেশের ইলেকট্রনিক টেলিভিশন চ্যানেল যেগুলো কাজ করে, তারমধ্যে আমার মনে হয় এনটিভি প্রথম পর্যায়ের একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ইতোমধ্যে জনগণের মাঝে এনটিভি একটি অবস্থান করে নিতে পেরেছে। আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করছি; সবসময় এনটিভিকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার মাধ্যম হিসেবে দেখতে চাই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা দেখেছি, গণতন্ত্রের প্রতি এনটিভির একটা অঙ্গীকার আছে। সেই অঙ্গীকার থেকে সেভাবেই তারা অনুষ্ঠানগুলোকে সাজায় এবং সংবাদ পরিবেশন করে। ২১ বছর বয়সে এনটিভির সকল পর্যায়ের ম্যানেজমেন্ট, সাংবাদিক, কলাকুশলি, শিল্পী সকলকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, আমার চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
জন্মদিনের শুভক্ষণে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন : এনটিভির চেয়ারম্যান
দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির যাত্রা শুরু ২০০৩ সালের ৩ জুলাই। দেখতে দেখতে ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদার্পণ করেছে এনটিভি। ২১ বছর পূর্তির এই শুভক্ষণে দর্শক-শ্রোতা ও পাঠকের ভালোবাসাই প্রমাণ করে, সঠিক পথেই আছে এনটিভি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং সঠিক তথ্য সরবরাহে দৃঢ়প্রত্যয়ী এনটিভি।
আজ ৩ জুলাই (সোমবার) এনটিভির ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সম্মানিত দর্শক, কেবল অপারেটর, বিজ্ঞাপনদাতা ও সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এনটিভির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। একইসঙ্গে তিনি সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা জানিয়ে উৎসাহিত করায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করে আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘আজ আপনাদের-আমাদের সবার প্রিয় চ্যানেল এনটিভির জন্মদিন। আজ ২০ বছর পার করে আপনাদের এ প্রিয় চ্যানেল ২১ বছরে পদার্পণ করছে। আজকের এই শুভ দিনে আমার ও পুরো এনটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, কলাকুশলী এবং শিল্পী-সাহিত্যিক সকলকে; বিশেষ করে বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটর সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি; যাঁরা এই চলার পথে বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, ভুল ধরে দিয়েছেন, তা আমাদের চলার পথে নিরন্তর শক্তি জুগিয়েছে।’
আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী আরও বলেন, ‘আপনাদের এ প্রিয় চ্যানেল ২১ বছর যাত্রার পথে, আমাদের সাথে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এ দীর্ঘ সময়ে এনটিভি পরিবার ও সমাজের বহু খ্যাতিমান মানুষকে আমরা হারিয়েছি। আমরা তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁদের জান্নাত নসিব করুন।’
সবার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে এনটিভির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা সবাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে যে সহযোগিতা করেন, পরামর্শ দেন সেগুলো মাথায় রেখে আপনাদের জন্য অনুষ্ঠান, নিউজ, অনলাইনের সংবাদ তৈরি করে থাকেন আমাদের নিউজ, প্রোগ্রাম, অনলাইন টিম ও বিভিন্ন কলাকুশলীরা। আপনারা জেনে খুশি হবেন ঝড়, বন্যা, মহামারিসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের এই কর্মীরা, আপনাদের এই যোদ্ধারা কাজ করেছেন আপনাদের জন্য। সবার আগে সব নিউজ সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে যেন উপস্থাপন করতে পারেন, সে জন্য নিউজ বিভাগ কাজ করেছে, অনুষ্ঠান বিভাগও; কীভাবে আপনারা একটা পরিবার নিয়ে সুন্দর অনুষ্ঠান ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের অনলাইন বিভিন্ন সময়ে চিন্তা করেছে, যখন আপনারা সময় পাবেন যেন আপনাদের প্রিয় চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলো, খবরগুলো আবারও দেখতে পারেন বা কোনও কাজের ফাঁকে যদি মিস করে থাকেন আপনারা যেন অনলাইনের মাধ্যমে সেটা দেখতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা করেছে।’
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন আপনাদের প্রিয় চ্যানেল এনটিভি দীর্ঘ চলার পথে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছে। আপনাদের সহযোগিতার কারণেই তা সফল হয়েছে। বিশেষ করে ক্লোজআপ ওয়ান বাংলাদেশ, যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা দেশ-বিদেশে যেখানেই আছে সবার প্রিয় হয়েছে। আমাদের পিএইচপি কুরআনের আলো, আপনারা জানেন আমাদের কোরআনে হাফেজদের একটি প্রতিযোগিতা হয়, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাঁরা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়েছেন, তাঁরা শুধু বাংলাদেশে নয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সারা বিশ্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। এটা দেশের গর্ব। আপনারা জানেন যখন শিল্পী সংকট হয়েছিল, চলচ্চিত্র শিল্পী, তখনও এফডিসিকে সাথে নিয়ে এনটিভি শিল্পী খোঁজার কাজ করেছে। এখন অনেক চ্যানেল হয়েছে, আমাদের কর্মী সংকট থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেও আমরা উপস্থাপক, উপস্থাপিকা তৈরি করেছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ ছাড়া শিশুদের জন্য টিফিনের ফাঁকে, মার্কস অলরাউন্ডার অনুষ্ঠান করেছি। আপনাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য হা-শো অনুষ্ঠান করেছি। রান্নার অনুষ্ঠান করেছি। আপনারা জানেন রান্না একটি শিল্প, এটাকে ভালোমতো বুঝতে পারে, ভালো শিক্ষা নিতে পারে, সেজন্য আমরা করেছি। এছাড়া আরও অনেক অনুষ্ঠান আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে করেছি। সবকিছুই সফল হয়েছে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শের কারণে। ভবিষ্যতেও আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা আছে। আপনারা টেলিভিশনের পর্দায় আপনাদের প্রিয় চ্যানেলে সেগুলো দেখতে পারবেন।’
‘শুধু অনুষ্ঠান কিংবা সংবাদ প্রচারই নয়; সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে বিভিন্ন সময় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এনটিভি’ একথা জানিয়ে এনটিভির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আইলা বা শীতে যখন শীতবস্ত্রের প্রয়োজন হয়েছে তখন এবং যখনই যেখানে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এমনকি করোনার সময়—এনটিভি আপনাদের সাথে ছিল। আপনারা দেখেছেন আপনাদের প্রিয় চ্যানেল যতটুকু সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।’
‘আপনারা জানেন আমরাই একমাত্র চ্যানেল যারা দর্শকদের বিভিন্ন গল্প নিয়ে দর্শকদের গল্প নামে নাটক করেছি। তাই আমরা মনে করি আপনারা যদি আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেন, পরামর্শ দেন; কী ধরনের নিউজ, প্রোগ্রাম, টক শো দেখতে চান আমাদের খবরের মাধ্যমে, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, অনলাইনের মাধ্যমে; আমাদের এনটিভির কর্মীরা আপনাদের জন্য সেভাবে প্রস্তুত করবে।’
আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের একঝাঁক কর্মী আছে; শুরু থেকে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে আমাদের সাথে কিছু নতুন কর্মীও যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগই শুরু থেকে; ২০০৩ সালের ৩ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত যে এনটিভি চলছে, তখন থেকেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকেই হয়তো আমাদের এখান থেকে গিয়ে অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলেও কাজ করছেন। তাঁরাও আমাদের এনটিভি পরিবারেরই সদস্য। এখনও আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজে তাঁদের পাশে পাই। আশা করব, আগামী দিনগুলোতে সকল অবস্থায় আমরা তাঁদের সহযোগিতা পাব। বিশেষ করে বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটর যাঁরা আছেন, যাঁরা সব সময়েই আপনাদের এ চ্যানেলকে মূল্যায়ন করেছেন, সহযোগিতা করেছেন; আমি আবারও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করছি আগামী দিনগুলোতেও এনটিভির সাথে আপনারা থাকবেন, আমরাও আপনাদের সাথে থাকব।’
‘আমরা মনে করি দর্শকরাই আমাদের শক্তি’—এ কথা উল্লেখ করে এনটিভি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এনটিভি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে—বর্ষপূর্তির শুভক্ষণে এই প্রত্যাশা।’
এনটিভি দিন দিন বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে : জিএম কাদের
এনটিভির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (৩ জুলাই, সোমবার) উপলক্ষে এক বাণীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এনটিভির সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। দেখতে দেখতে এনটিভির ২০ বছর পার হয়ে গেল। এই ২০ বছরে এনটিভির সব কিছুর মান আরও ভালো হয়েছে এবং দিন দিন আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই সেদিন এনটিভির যাত্রা শুরু হলো। অনেক জাঁকজমকপূর্ণ করে শুরু হয়েছিল এনটিভি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে তারা এগিয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিদিনই আমি দেখেছি তারা সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। তাদের সব কিছুর মান ভালো হয়েছে এবং তারা বেশি বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।
জি এম কাদের বলেন, আশা করি, সামনের দিনগুলোতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। গণমাধ্যম হিসেবে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশ ও জাতির সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটা তারা ধরে রাখার পাশাপাশি সামনের দিকে আর উন্নততর করবে বলে আমার প্রত্যাশা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় এনটিভি
প্রযুক্তির দুনিয়ায় দর্শককে আরও চমক ছড়িয়ে দিয়েছে এনটিভির নানা আয়োজন। তাই দ্রুতই ডিজিটাল অঙ্গনের বিপুল দর্শকের মন কেড়েছে এই চ্যানেলটি। তাই টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষস্থানে অবস্থান নিয়ে চলমান এনটিভি।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি চালু হয় এনটিভির অনলাইন বিভাগ। যখনকার খবর যাচাই-বাছাইয়ের পর তখনই প্রকাশ পায় এনটিভির অফিসিয়াল নিউজ পোর্টাল এনটিভিবিডি ডটকমে। পাশাপাশি এনটিভিতে সম্প্রচারিত সব খবর ও অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব ছবি পাওয়া যায় এই ওয়েবসাইটে (www.ntvbd.com)। এর নেপথ্যে রয়েছে সুচিন্তিত-সুপরিকল্পিত পরিচালনা ও দক্ষ কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম।
পৃথিবীর ১৯৩টি দেশ থেকে ৫০ লাখেরও বেশি ভিজিটর প্রতি মাসে এনটিভি অনলাইন ভিজিট করে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এনটিভি ডিজিটাল। এ ছাড়া গুগল অ্যাড ম্যানেজার, অ্যাডসেন্স, অ্যাডেক্স, টাবুলাসহ দেশি-বিদেশি অ্যাড নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এনটিভি ডিজিটাল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৪৬ লাখ লাইক ও এক কোটি ৯১ লাখের বেশি ফলোয়ার নিয়ে দেশের টেলিভিশনগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে এনটিভি। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার মিলিয়ে এনগেজমেন্টও হয় প্রচুর। এ ছাড়া টুইটার, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, লাইকি এবং পিন্টারেস্টেও রয়েছে এনটিভি অনলাইনের দৃঢ় উপস্থিতি।
ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে বিশ্বের দর্শককে মাতিয়ে রেখেছে এনটিভি অনলাইন। ২০১৪ সালেই ইউটিউবের প্রিমিয়াম পার্টনারের স্বীকৃতি পায় এনটিভি। লাইভ টিভি, খবর, নাটক, সিনেমা, গান, রান্না, ইসলামিক অনুষ্ঠান, লাইফস্টাইল, ভ্রমণসহ নানা বিষয় প্রচার হয়ে ইউটিউব চ্যানেল। সম্প্রতি ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ভিউয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এনটিভি, যা দেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে একটি রেকর্ড। এনটিভির রয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার, যা টিভি ইন্ড্রাস্ট্রির শীর্ষে। শুধু তা-ই নয়, ২০টি ইউটিউবের সিলভার ও গোল্ড প্লেবাটন পেয়েছে একমাত্র এনটিভি।
নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে এনটিভি অনলাইন। দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এনটিভি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে—বর্ষপূর্তির শুভক্ষণে এমনই প্রত্যাশা।