ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। আজ বুধবার এই ভূমিকম্পে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৪৯ মিনিট) এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। সুমাত্রা প্রদেশের পাদাং শহরের ৮০৮ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ভূপৃষ্টের ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে এর উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিকভাবে এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা পশ্চিম সুমাত্রা, উত্তর সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশের অঞ্চলগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
অস্ট্রেলিয়াও কোকোস দ্বীপ ও ক্রিসমান দ্বীপ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পার্থ শহরসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, দ্বীপ থেকে এখনই জনগণকে সরিয়ে আনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিপজ্জনক ঢেউ ও স্রোতের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে দ্বীপবাসীকে সমুদ্রের পানি থেকে দূরে সরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, প্যাদাংয়ে এই ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে উচ্চ ভূমিতে আশ্রয় নেয়। পথচারীরা কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে যায় এবং সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
২০০৪ সালে উত্তরাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। এতে দুই লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এই দুর্যোগের পর ওই স্থানে একটি কার্যকর সুনামি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় ভূমিকম্পের পর প্রায়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।